বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দিকে দিকে বিজেপি যোগের ধারা অব্যাহত। কখনো শাসক দল তৃণমূল থেকে নেতা-কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন, আবার কখনো কংগ্রেস অথবা বাম নেতা-কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। আর এরই মধ্যে বেশ কিছু চিকিৎসক গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপির প্রার্থী মুকুল রায়ের হাত ধরে কৃষ্ণনগরের ২০ জন স্বনামধন্য চিকিৎসক বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় ওনাদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন।
কৃষ্ণনগর শহরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বলেন, বিগত ১০ বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার অবস্থা করুণ হয়ে উঠেছে। আর করোনা মহামারীর মধ্যে রাজ্যের সেই বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে। চিকিৎসকরা জানান, বিজেপি ফিরলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফিরবে। জন সাধারণের দুর্ভোগ দূর হবে। মানুষের ঘরে হরে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে যাবে। আর সেই কারণেই ওনারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
কৃষ্ণনগরের উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় বলেন, ‘কেন্দ্রের মোদী সরকার আর বিজেপি সোনার বাংলার গড়ার সংকল্প নিয়েছে। আর বিজেপির সি সংকল্প পূরণ করতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।” মুকুল রায় বলেন, বামেদের ৩৪ বছরের শাসনেও মানুষের ঘরে ঘরে চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছায় নি। আর তৃণমূল সরকারের আমলে স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও খারাপ হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলের ছাত্রপরিষদের নেতা এবং ৫০০ জন কর্মী যোগ দেন বিজেপিতে। ভোটের আগে কৃষ্ণনগরে শাসক দলে এই ভাঙন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। মঙ্গলবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কৃষ্ণনগর উত্তরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত। এতদিন এটা আমরা বলতাম, এখন রাজ্যের মানুষ বলছে আর প্রমাণও করে দিচ্ছে।” তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে তৃণমূল করে আসছি। কিন্তু এখন এই দলটা আর দল নেই, দলটা একটি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।”