বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হচ্ছে আজ। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া আর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে। আর এবারে নির্বাচন একটু আলাদা হচ্ছে। কারণ প্রতিবার বিরোধী পক্ষ অভিযোগ করে বলে যে, শাসক দল তৃণমূল তাঁদের এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না। কিন্তু এবার স্বয়ং শাসক দল অভিযোগ করে বলছে যে, বিজেপি তাঁদের পোলিং এজেন্টকে বসতে বাঁধা দিচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না শাসক দল তৃণমূল অভিযোগ করে বলে যে, বিজেপি তাঁদের এজেন্টকে বসতে দিচ্ছে না বুথে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলে, সেক্টর অফিসারকে এই নিয়ে বারবার অভিযোগ করা স্বত্বেও সুরাহা হয়নি। আরেকদিকে, বিজেপি সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। ময়নার বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অশোক দিন্দা বলেন, এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই নির্বাচন হচ্ছে। মানুষ অবাধে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
আরেকদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সোহম চক্রবর্তীকে ঘিরে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উথেছে। জানা গিয়েছে যে, একটি বুথ পরিদর্শন করতে গেলে সোহম চক্রবর্তীকে ঘিরে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেয় একদল যুবক। তৃণমূলের তরফ থেকে এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ি করা হয়েছে। সোহম চক্রবর্তী নিজেই বলেন, বিজেপির লোকজন এই কাজ করেছে।
আরেকদিকে, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু অধিকারী। সকাল সকাল ভোট দিয়ে বেরিয়ে বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘দিদি হেরে গেছে। নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে আমি বহু বছরের সম্পর্ক। আমি ওদের পরিবারের লোকের মতই। পরাজয়ের মার্জিন বলা ঠিক না, তবে আগেও বলেছি এখনও বলছি বেগম ৫০ হাজার ভোটে হারবে। উন্নয়ন জিতবে।” শুভেন্দুবাবু বলেন, তৃণমূল নন্দীগ্রামের প্রায় ১০০ বুথে পোলিং এজেন্টই দিতে পারেনি।
শুভেন্দু অধিকারী গতকালের মমতা বন্দ্যোপাধায়ের হুগলির গোঘাটের সভার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘উনি আমাকে শালা বলেছে, উনি বলেছে দুধকলা দিয়ে কালসাপ পুষেছিলাম। উনি আমাকে একবার না, একাধিকবার শালা বলেছেন।” শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিচিতি দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। আসল বিশ্বাসঘাতক তো উনি নিজেই।”