বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে দু’দফার নির্বাচন হয়ে গেছে। এবার তৃতীয় দফার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো। আগামী ৬ এপ্রিল রাজ্যের তিন জেলার ৩১ আসনে নির্বাচন হতে চলেছে। ওই দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৬, হুগলির ৮ আর হাওড়ার ৭টি আসনে ভোট নেওয়া হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরিগনার যেই ১৬টি আসনে ৬ এপ্রিল ভোট নেওয়া হবে সেগুলো হল বাসন্তী, কুলতলি, কুলপি, রায়দিঘি, মন্দিরবাজার, জয়নগর, বারুইপুর পূর্ব, ক্যানিং পশ্চিম, ক্যানিং পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, মগরাহাট পূর্ব, মগরাহাট পশ্চিম, ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর।
হুগলির যেই ৮টি আসনে ৬ এপ্রিল ভোট নেওয়া হবে সেগুলো হল খানাকুল, জাঙ্গিপাড়া, গোঘাট, হরিপাল, আরামবাগ, ধনেখালি, পুরশুড়া, তারকেশ্বর। হাওড়ার যেই ৭টি আসনে ৬ এপ্রিল ভোট নেওয়া হবে সেগুলো হল উদয়নারায়ণপুর, জগৎবল্লভপুর, উলুবেড়িয়া উত্তর, উলুবেড়িয়া দক্ষিণ, বাগনান, শ্যামপুর, আমতা।
২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই ৩১টির মধ্যে ৩০টি আসনেই জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। শুধুমাত্র আমতায় কংগ্রেস জিতেছিল। কিন্তু ২০৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিন বছরে সমস্ত সমীকরণ পাল্টে যায়। এই তিন বছরে রাজ্যের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠে আসে বিজেপি। আর তাঁরা অভূতপূর্ব ফলও করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক ২০১৯-এর নির্বাচনে এই ৩১টি আসনের মধ্যে কে কোথায় এগিয়েছিল।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী- তৃণমূল এগিয়েছিল। সেবার তৃণমূল পেয়েছিল ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৩৮৪টি ভোট। আর বিজেপি পেয়েছিল ৭২ হাজার ২৩৬টি ভোট। কুলতলি- এগিয়েছিল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবির মোট ভোট পেয়েছিল ৮৭ হাজার ১০৬টি আর বিজেপি ভোট পেয়েছিল ৭৮ হাজার ৬৯৫টি।
জয়নগর- তৃণমূল পেয়েছিল ৮৯ হাজার ৬৭২টি ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৭৩ হাজার ৯৫টি ভোট। ক্যানিং পূর্ব- তৃণমূল পেয়েছিল ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৯৭টি ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ২৩ হাজার ৭২৪টি ভোট। ক্যানিং পশ্চিম- তৃণমূল পেয়েছিল ১ লক্ষ ২ হাজার ৪০২টি ভোট। আর বিজেপি পেয়েছিল ৭৭ হাজার ৫৬টি ভোট।
মগরাহাট পূর্ব- তৃণমূল পেয়েছিল ৯৯ হাজার ৯৫১টি বত। বিজেপি পেয়েছিল ৬২ হাজার ৩০৭টি ভোট। মগরাহাট পশ্চিম- তৃণমূল পেয়েছিল ৯৯ হাজার ৫১১টি ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৪৮ হাজার ৪২০টি ভোট। ডায়মন্ডহারবার- তৃণমূল পেয়েছিল ১ লক্ষ ৯ হাজার ১৩৪টি ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৭৩ হাজার ৬৭৩টি ভোট।
ফলতা- তৃণমূল পেয়েছিল ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৬৮৯টি ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৭০ হাজার ৯১২টি ভোট। সাতগাছিয়া- তৃণমূল পেয়েছিল ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৬৮৯টি ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৮৬ হাজার ৭৬১টি ভোট। বিষ্ণুপুর- তৃণমূল পেয়েছিল ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৬১৭টি ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৭৩ হাজার ৫২৯টি ভোট।
কুলপি- তৃণমূল পেয়েছিল ৯০ হাজার ৫১২টি ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৬৪ হাজার ৮২৪টি ভোট। রায়দিঘী- তৃণমূল পেয়েছিল ১ লক্ষ ৪ হাজার ২৬১টি ভোট বিজেপি পেয়েছিল ৯১ হাজার ৩৪২টি ভোট। মন্দিরবাজার- তৃণমূল পেয়েছিল ৯৩ হাজার ৮১৯টি ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৭২ হাজার ৫৯৫টি ভোট। বারুইপুর পূর্ব- তৃণমূল পেয়েছিল ৯৯ হাজার ৭১৯টি ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৭২ হাজার ২১৪টি ভোট। বারুইপুর পশ্চিম- তৃণমূল পেয়েছিল ৯৪ হাজার ৩৫৯টি ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৫৯ হাজার ৩২৭টি ভোট।
এবার আসা যাক হাওড়া জেলায়।
উলুবেড়িয়া উত্তর- ৮২ হাজার ৮৭১ ভোট পেয়ে এগিয়ে তৃণমূল। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৬৮ হাজার ৮৮৮ ভোট। উলুবেড়িয়া দক্ষিণ- ৯৬ হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে তৃণমূল। বিজেপি ৭১ হাজার ৪৯৮। শ্যামপুর- তৃণমূল ১ লক্ষ ৭ হাজার ৮৬৭। বিজেপি ৭৬ হাজার ৫৭৩। বাগনান- তৃণমূল ১ লক্ষ ৯ হাজার ৭০। বিজেপি ৬০ হাজার ৭৭৬।আমতা- তৃণমূল ১ লক্ষ ৪ হাজার ২৫৯। বিজেপি ৬৬ হাজার ৭৮৫। উদয়নারায়ণপুর- তৃণমূল ১ লক্ষ ৭ হাজার ৯২৬। বিজেপি ৬৮ হাজার ১০৫। জগৎবল্লভপুর- তৃণমূল ১ লক্ষ ৫৭১। বিজেই ৮৮ হাজার ৬৪১।
এবার দেখা নেওয়া যাক হুগলি জেলার পরিসংখ্যান
জাঙ্গিপাড়া- তৃণমূল ৯৩ হাজার ৯৫৮। বিজেপি ৮২ হাজার ২৬। হরিপাল- তৃণমূল ৯৫ হাজার ২৯৫। বিজেপি ৮৫ হাজার ৭৩১। তারকেশ্বর- তৃণমূল ৮৮ হাজার ৯৬। বিজেপি ৮৩ হাজার ৭৫৩। পুরশুড়া- বিজেপি ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭৫৯। তৃণমূল ৮১ হাজার ৯১৭।
আরামবাগ- তৃণমূল ৯৩ হাজার ৮৮৩। বিজেপি ৮৯ হাজার ৮৭৬। গোঘাট- বিজেপি ৯৫ হাজার ২৮৪। তৃণমূল ৮১ হাজার ২১৭। খানাকুল- তৃণমূল ৯৬ হাজার ৪০৫। বিজেপি ৮২ হাজার ১৮৩। ধনেখালি- তৃণমূল ১ লক্ষ ৯ হাজার ৪৮২। বিজেপি ৯৭ হাজার ৪৮০।
উল্লেখ্য, এই ৩১টি আসনের মধ্যে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে সর্বক্ষেত্রে তৃতীয় স্থান দখল করেছিল বামেরা।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…