বাংলাহান্ট ডেস্ক: নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই তৃণমূল (tmc) বিজেপি (bjp) সংঘর্ষ নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বাংলায় ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নয় কোনো পক্ষই। এমনকি নির্বাচনের আগে দলে তারকা যোগদান নিয়েও চলেছে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। তবে এই তারকাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে বড় চমক ছিল যশ দাশগুপ্তর (yash dasgupta) বিজেপিতে যোগদান।
চমকপ্রদ এই কারণেই, গত বছরের শেষের দিকেই হঠাৎ গুঞ্জন শুরু হয় তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান (nusrat jahan) ও যশের সম্পর্ক নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট বক্সে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা চালাচালি, তারপর স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে নুসরতের ভিন্ন হয়ে যাওয়া, যশের সঙ্গে ক্রমশ বাড়তে থাকা ঘনিষ্ঠতা সব মিলিয়ে দুয়ে দুয়ে চার করতে সমস্যা হয়নি কারোরই।
যদিও নিজেদের মধ্যে শুধু মাত্র ‘বন্ধুত্ব’র সম্পর্ক রয়েছে বলেই বার বার বলে এসেছেন যশ নুসরত। তাও একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্তগুলো কিন্তু কখনোই গোপন করেননি তাঁরা। নিখিলের সঙ্গে কথা বন্ধ হয়েছে বহুদিন, কিন্তু নুসরতের সঙ্গে তাঁর ছবির প্রিমিয়ারে এসেছেন যশ। তাও আবার মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে দিয়ে বুক ফুলিয়ে হেঁটে।
কিন্তু সম্প্রতি ‘যশরত’ জুটির কাণ্ড দেখে কার্যতই হতবাক নেটিজেনরা। রাজন্য রাজনীতি যখন উত্তাল গেরুয়া সবুজের বিরোধিতা নিয়ে তখন দিব্যি এক টেবিলে বসে বিজেপির যশের সঙ্গে ডিনার সারলেন তৃণমূলের নুসরত। দুজনের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতেই একই ডেসার্টের ছবি। সঙ্গে ক্যাপশনে নুসরত লিখেছেন, ‘সব প্রিয় জিনিস আমার টেবিলে, সঙ্গে প্রিয় যশ দাশগুপ্ত’। একই স্টোরি দিয়ে যশ লিখেছেন, ‘তোমার আনন্দটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি’।
এর আগে নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে যোগদানের হিড়িক নিয়ে নুসরত বলেন, তিনি টলিউড ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি তৃণমূলেরও সাংসদ। অন্য কোনো পার্টির কথা তিনি বলতে পারেন না, শুধুমাত্র নিজের দলের কথাই বলতে পারেন। অভিনেত্রীর কথায়, “যারা যাচ্ছে যাক। আমরা নিজেদের কর্তব্য পালন করছি। যারা দিদিকে ভালোবাসে তারা দিদির পাশেই থাকবে।”
বিজেপিতে যোগ দিয়ে যশ বলেছিলেন, নুসরতের সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান নিয়ে কোনো কথাই বলেননি তিনি। তবে তাঁদের বন্ধুত্বটা অভিনয় ইন্ডাস্ট্রির সূত্রে। অভিনয় ও রাজনীতি দুটো আলাদা ক্ষেত্র। নুসরতের রাজনৈতিক মত আলাদা ও তাঁর নিজের আলাদা বলে জানান যশ। তার জন্য তাঁদের বন্ধুত্বে কোনো প্রভাব পড়বে না।