বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চতুর্থ দফার ভোটের দিন সকাল সকাল প্রাণ হারাল এক নিরীহ কিশোর। কোচবিহারের শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে প্রাণ গেল ওই কিশোরের। এবারই প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েছিল ওই কিশোর। কিন্তু তাঁর আর ভোট দেওয়া হল না। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে মৃত কিশোরের পরিবার। যদিও, তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সদ্য ১৮ পেরনো ওই কিশোরের নাম আনন্দ বর্মণ। এবারই সে প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েছিল। বিজেপি মৃত কিশোর আর তাঁর পরিজনদের নিজেদের লোক বলে দাবি করেছে। মৃত আনন্দ বর্মণের এক দাদা জানিয়েছে, পাঠানটুলির শালবাড়ির ২৮৫ নম্বর বুথে তাঁরা সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়েছিল। ভোটের লাইনে দাঁড়ানো মাত্র তৃণমূল এবং বিজেপির সমর্থকদের মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল সৃষ্টি হয়। এরপর গুলিও চলে।
মৃত কিশোরের দাদা জানান, এই ঘটনায় সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সবাই প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে, আর সেই সময়ই আনন্দের পিঠে গুলি লাগে। তাঁকে তখনই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই আঙুল তুলেছে আনন্দের পরিবার। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায় করা হয়েছে।