বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের প্রেস্টিজ ফাইটে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরই নির্বাচনী প্রচারে কেউ কাওকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। শুরু করেছে একে ওপরের দিকে কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি। সভামঞ্চ থেকে একে ওপরকে দুর্নীতির অভিযোগে আক্রমণ শানিয়ে চলেছে। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP) তৃণমূল সরকারকে ‘দুর্নীতির’ অভিযোগে বিঁধে চলেছে, তো থেমে নেই শাসক শিবিরও (TMC)।
একুশের নির্বাচেন রাজ্যের সব কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই ৮ দফায় ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে। মিটে গেছে ৪ দফার ভোটগ্রহণ। বাকি আরও চার। আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের ৭ টি জেলায় মোট ৪৫টি আসনে ভোট গ্রহণ হতে চলেছে। শনিবারের ওই ভোট পর্বে গৃহীত হবে কামারহাটি (Kamarhati) বিধানসভা আসনেও ভোট গ্রহণ। ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র (Madan Mitra), বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাম প্রার্থী সায়নদীপ মিত্র। কামারহাটি কেন্দ্রে তাই হতে চলেছে হাইভোল্টেজ লড়াই।
ওই লড়াইয়ের কয়েকদিন আগেই এবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এলেন তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ‘নির্বাচনে জিতলেই কামারহাটির ঘরে ঘরে চাকরি, মোট ২০ হাজার চাকরি।’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর হেরে যাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মদন মিত্র জানান, ‘টিম ছিল, জার্সি ছিল। ছিলনা শুধু ক্যাপ্টেন। তবে এবারের নির্বাচনে রয়েছে খোদ ক্যাপ্টেন। ওই নির্বাচেন হার হয়েছিল বলেই এবারের নির্বাচনে মানুষ আমাকে দ্বিগুন ভোটে জয়ী করবে। এমনকি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ভাবে তিনি এও দাবি করেন যে, এবারের নির্বাচনের ‘হটস্পট’ কেন্দ্র নন্দীগ্রামের পর কামারহাটির নাম জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমবার বিধায়ক হয়ে কামারহাটিতে অনেক কিছু হয়েছে। সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ হয়েছে, নার্সিং কলেজ হয়েছে, ক্যান্সার হাসপাতাল হয়েছে, ১০০ কোটির স্কাইওয়াক হয়েছে, ২১ কোটি টাকার লাইট-সাউন্ড হয়েছে দক্ষিণেশ্বরে। এছাড়াও অনেক কিছু হয়েছে বলে জানান তিনি। এরপেই তিনি প্রতিশ্রুতি দিলেন, ‘যদি আবারও আমাকে নির্বাচিত করা হয়, তাহলে ২০ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান (Job) হবে।’