বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহিরাগত তত্ত্বের পর এবার বিজেপির বিরুদ্ধে করোনা ছড়ানোর অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর জনসভা থেকে রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তর দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূল নেত্রী পূর্বস্থলীর জনসভা থেকে দাবি করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে করোনা ছিল না। বাইরে থেকে গুন্ডারা এসে পাড়ায় পাড়ায় বসে আছে, গেস্টহাউস-বাড়ি ভাড়া করে আছে। সবার করোনা হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চ সাজানোর জন্যও বাইরে থেকে লোক আনা হচ্ছে। বাংলায় করোনা ছড়িয়ে গেলে বিজেপি আর প্রধানমন্ত্রী দায়ী হবেন।
বলে রাখি, দেশ তথা রাজ্যে বেড়ে চলা করোনার কারণে শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন। ওই বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের শেষ তিন দফার নির্বাচন এক দফায় করার দাবি তুলেছিল। কিন্তু বিজেপি সহ রাজ্যের বাকি বিরোধী দলগুলো শেষ তিন দফার নির্বাচন একদফায় করার জন্য সহমত হয়নি। কমিশনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, যেভাবে নির্বাচন হচ্ছিল সেভাবেই হবে তবে প্রচারের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়।
সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা কমিশনকে দফা কমাতে বলেছিলাম, কিন্তু দফা না কমিয়ে প্রচারের সময় কমিয়ে দিল। বিজেপির তেমন প্রচার নেই, আমি এই ভাঙা পা নিয়েই প্রচার করে যাচ্ছি। আর এরপরেও কমিশন ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার প্রচারের দিনগুলো নষ্ট করে দিল।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে যেসব কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে, সেগুলোর একটাতেও জিতবে না বিজেপি। আর এই কারণে আমার প্রচারের সময় কমিয়ে দেওয়া হল।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা বেড়ে চলেছে আর এদিকে প্রধানমন্ত্রী প্রচার করে চলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী অক্সিজেন এবং অন্যান্য উপকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে বলা হচ্ছে, উনি ভোট প্রচারে ব্যস্ত।