বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আর পঞ্চম দফার নির্বাচন শেষের পরই নদিয়া জেলার চাকদহ বিধানসভা কেন্দ্রে নিজের বাড়ির সামনেই পড়ে থাকতে দেখা গেল বিজেপির কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। দিলীপ কীর্তনিয়া নামের ওই সক্রিয় বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিজেপি অভিযোগ করে বলেছে, তৃণমূলের গুন্ডারা তাঁদের কর্মীকে পিটিয়ে মেরেছে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
নদিয়ার চাকদহ বিধানসভা এলাকার মণ্ডল পাড়ার বাসিন্দা বিজেপির সক্রিয় কর্মী দিলীপ কীর্তনিয়ার দেহ রবিবার সকালে তাঁর উঠোনের পাশে একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার হয়। অভিযোগ উঠছে যে, শনিবার ভোটের দিন থেকেই দিলীপবাবুকে হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূলের গুন্ডারা। দিলীপ কীর্তনিয়া পঞ্চম দফার ভোটের দিন বিজেপির নির্বাচনী ক্যাম্প সামলাচ্ছিলেন। আর তখন থেকেই ওনাকে হুমকি দিতে থাকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।
এরপর শনিবার রাত ১১টার পর দিলীপবাবুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। রবিবার সকালে ওনার ক্ষতবিক্ষত দেহ বাড়ির উঠোনের পাশে একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, দিলীপবাবুর কান, নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। তাঁকে তড়িঘড়ি চাকদহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরহাসপাতালের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দিলীপবাবুর পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে হাসপাতালের সামনেই প্রতিবাদ করেন তাঁরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। দিলীপ কীর্তনিয়ার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের লোকেরা দাবি করেন যে, দিলীপবাবুকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।