বাংলা হান্ট ডেস্ক: গলির মধ্যে গলি, তার ভেতর তস্য গলি, কে বলবে এখানেই বাস করতেন ব্রিটিশ ভারতে দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান কার্তিক বসু। ৫২ নম্বর আমহার্স্ট স্ট্রিট। এখান থেকেই গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর। সেই এলাকা এখন পালটে গিয়েছে। কার্তিক বসুর ক্রিকেটের স্মৃতি নিয়েই একটু একটু করে পালটে গেছে কল্লোলিনী কলকাতা৷ শুধু থেকে গেছে প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটের ইনিংসগুলো। আজ হয়তো নাম বললে কেউ চট করে চিনেও উঠতে পারবেন না, কিন্তু পঙ্কজ রায়-পূর্ববর্তী যুগে বাংলার ক্রিকেটে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান আজও কার্তিক বসু। একসময় তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন ভারতের ডন ব্র্যাডম্যান হিসেবে।
১৯৩০ থেকে ১৯৫২ সাল অবধি ৪৪টি ফার্স্ট ক্লাসে তাঁর রান সংখ্যা ১৬৫৯। স্যার ডনের থেকে বয়সে দুই বছরের বড় কার্তিক বসুই কাট-পুল-হুক খেলার প্রথম নজির গড়েছিলেন। বাংলার হয়ে যখন ১৯৩০ সালে অভিষেক হয় কার্তিকের, তখন ভারত টেস্ট খেলিয়ে দেশের মর্যাদা পায়নি। দুই বছর পর ভারত টেস্ট খেলিয়ে দেশের মর্যাদা পাবার পর সি কে নাইডু, ওয়াজিদ আলি, সোরাবজি কোলাহ-দের যে ব্যাটিং লাইনআপ, তাতে ঠাঁই মেলেনি কার্তিকের। এরপর এসেছিল মুশতাক আলি যুগ। ব্যাটিং লাইন-আপে সে-সময়ে কেন কার্তিক বসু-কে ভাবেনি ভারত, তার ব্যাখ্যা আজও অজানা।
কার্তিক বসু টেস্টে সুযোগ না পেলেও তাঁর ছাত্রেরা কিন্তু বাংলা তথা ভারতীয় ক্রিকেটকে সম্বৃদ্ধ করেছিলেন বহুদিন ধরে। মন্টু ব্যানার্জি, সম্বরণ ব্যানার্জি, পলি উমরিগড়, সেলিম দুরানি, চুণী গোস্বামী সকলেই আছেন সে-তালিকায়। স্বয়ং বিজয় মার্চেন্ট তাঁকে ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার কোচ ও সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োজিত করেন। শুধু টেস্ট সুযোগ না পাওয়াটাই হয়তো অধরামাধুরী হিসেবে থেকে গিয়েছিল কিংবদন্তি কার্ত্তিক বসুর জীবনে।