বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শীতলকুচির একটি সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিআরপিএফ কে ঘেরাও করার নিদান দিয়েছিলেন। এরপর শীতলকুচির ভোটের দিন গ্রামের মানুষ সিআরপিরএফ কে ঘিরতে গিয়ে বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। আর এবার মুখ্যমন্ত্রী থানা ঘেরাও করার নিদান দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এদিন বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক থেকে তিনি কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি অভিযোগ করে বলেন যে, নির্বাচনের আগে পরিকল্পনামাফিক তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আটক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিজের মন্তব্য প্রমাণ করতে তিনি কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তুল ধরেন। এরপর তিনি থানা ঘেরাও করার নিদান দেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘যেই এলাকায় ভোট হচ্ছে, আমি সবাইকে অ্যালার্ট করছি। এখন থেকেই সবাই সতর্ক হন।” তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের লোকেরা যাতে বিজেপির হয়ে ভোট না করাতে পারে, সেটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে আমাদের।” তিনি আরও বলেন, ‘যদি পুলিশ কাউকে বেআইনি ভাবে আটকে রাখে পুলিশ, তাহলে তাঁর পরিবারের লোক ছেলে-মেয়েরা রাতের বেলায় গিয়ে থানার সামনে বসে থাকবেন। থানা ঘেরাও করবেন।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা পুলিশের কাছে কৈফিয়ত চাইবেন যে, কেন আমাদের পরিবারের লোককে বেআইনি ভাবে আটক করা হল। দরকার পড়লে আদালতেও যেতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এবার থানা ঘেরাও করার পরামর্শ দিচ্ছেন। উনি নিজেকে বাংলার মেয়ে বলছেন। কিন্তু উনি যেমন পরামর্শ দেন, তেমন কাজ বাংলার ঘরে হয় না। মুখ্যমন্ত্রী আইন ভঙ্গ করছেন। উনি বুঝে গিয়েছেন যে, ওনার সরকার আর আসছে না। এই কারণেই উনি এসব করছেন।”