বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ পেতেই সব দলই ভোট প্রচারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিল। তবে ভোটের বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে বাঁধ সাধল করোনা। ইতিমধ্যেই বড় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করল নির্বাচন কমিশন। সেই মত সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচনী ভার্চুয়াল প্রচার সারছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বহরমপুরে (Berhampore) ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেন তৃণমূল নেত্রী (Mamata Banerjee)।
সেখান থেকেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে একহাত নেন কমিশন এবং গেরুয়া শিবিরকে। রাজ্যে ভোট প্রচারের শুরু থেকেই কমিশনের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতিত্বের’ অভিযোগ তুলে আসছে তৃণমূল নেত্রী। এদিনও ব্যাতিক্রমী হলেন না তিনি। বহরমপুরের সভা থেকে বলেন, গেরুয়া শিবির (BJP) এবং কমিশনের নির্দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে পুলিশ। তবে তৃণমূলের কোনও বিকল্প নেই। আমরাই জিতব। তাই তৃণমূল কর্মীদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আর জেতার পরেই কেস করব।
এমনকি এদিন বহরমপুরের অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশকেও (Police) নিশানা করে তোপ দাগতে ছাড়েননি। তিনি বললেন, ‘আমাদের পুলিশ বেচারা নির্বাচন এলেই ভয় পায়। যেন ঘুঘুর বাসায় পড়েছে। নিজেদের ব্রেনটা ইউজ করতে পারে না। তাঁরা এটা ভাবছে যে ইলেকশন কমিশন যেটা বলছে সেটা শুনতে ওঁরা বাধ্য। তবে বাকি যে আরও পাঁচ বছর আছে তা ওঁরা ভাবে না।’ তারপরই মমতার নিদান প্রত্যেকেই বেরোবেন, নির্বাচনে ভোট করাবেন। আমরাই পাওয়ারে থাকব, কেস করলে দেখে নেব।
অন্যদিকে একইসাথে এদিনও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী করলেন গেরুয়া শিবিরকে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘২ লক্ষ পুলিশ রেখে দিয়েছে, কোভিড কোথা থেকে আসছে ওরাও জানে না, এমনকি প্রচুর বিজেপি কর্মীও বাইরে থেকে আসছে। করোনার এহেন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে চার-পাঁচ লাখ বাংলায় পড়ে থাকলে দায়ী কে ? তারপরই মমতার আরও অভিযোগ ‘ওরা পরিকল্পনা করছে, যাতে এরাজ্যে করোনায় পড়ে আর ওরা ড্যাং ড্যার করে বেরিয়ে যায়। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বললেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Election Commission) লোকজন বাড়িতে এলে বলবেন দূর থেকে কথা বল।’
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার