বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) মৃত্যুর পর ভয়াবহ ট্রোল, সমালোচনার মুখে পড়ে দীর্ঘদিন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজের দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন পরিচালক প্রযোজক করণ জোহর (karan johar)। নেপোটিজমের তীরে বিদ্ধ হয়ে দীর্ঘ এক বছর সমস্ত রকম যোগাযোগ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু অচিরেই আবারো নিজের পুরনো অবতারে ফিরে এলেন করন।
সম্প্রতি করনের প্রযোজনা সংস্থা ধর্মা প্রোডাকশনের ছবি ‘দোস্তানা টু’ থেকে কার্তিক আরিয়ানকে (kartik aaryan) বাদ দেওয়ার কথা ঘোষনা করা হয়। গুঞ্জন শোনা যায় করনের সঙ্গে অভিনেতার মনোমালিন্যের জন্যই এমন প্রস্তব নেওয়া হয়েছে। ধর্মার তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয় কিছু বিশেষ কারণ বশত ছবির রিকাস্টিং করা হবে।
কিন্তু এই রিকাস্টিং শুধু মাত্র কার্তিকের ক্ষেত্রেই। জাহ্নবী কাপুর ও লক্ষ্য লালওয়ানিকে বাদ দেওয়া হয়নি ছবি থেকে। এরপরেই করনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নেটিজেনদের একাংশ। কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই করন ফের নিজের রূপ দেখাতে শুরু করেছেন বলে বক্তব্য তাদের।
তবে কার্তিককে বাদ দিয়ে করন যে বেশ বড় বিপদে পড়েছেন তা নিজেই স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। অভিনেতাকে ছবি থেকে বাদ দিয়ে ২০ কোটি টাকা গচ্চা গিয়েছে করনের। আর এই করোনা আবহে কার্তিকের স্থানে অপর কোনো অভিনেতাও চুক্তিবদ্ধ হতে রাজি নন।
কার্তিকের পক্ষ নিয়ে করনকে নিশানা করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াতও। প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে কার্তিকের তুলনা টেনেছেন কুইন অভিনেত্রী। সুশান্তের সঙ্গে যে ব্যবহার করন করেছিলেন সেই একই রকম ব্যবহার কার্তিকের সঙ্গেও তিনি করছেন বলে দাবি করেছেন কঙ্গনা। করনের স্বজনপোষনের জন্য সুশান্ত বলিউডে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছিলেন। বাধ্য হয়েছিলেন আত্মহত্যা করতে। এমন অভিযোগ বারংবার তুলেছেন কঙ্গনা।
কার্তিককে সমর্থন করে করনকে একহাত নিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি লিখেছেন, ‘এতদূর পর্যন্ত কার্তিক নিজের চেষ্টাতেই এসেছে। নিজের চেষ্টাতেই ও এগিয়ে যাবে। পাপা জো এ তাঁর নেপো গ্যাংকে অনুরোধ ওর পিছু ছেড়ে দিন। সুশান্তের মতো ওকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করবেন না। ওকে একা ছেড়ে দিন।’ করনকে ‘শকুন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন কঙ্গনা।