বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর সন্ত্রাসের ঘটনার কথা কারও অজানা নেই। অনেক মানুষই প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্য কোথাও। পূর্ব বর্ধমানের কালনা বিধানসভা কেন্দ্রের ৫০ থেকে ৬০ ঘর বিজেপি কর্মীরা প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি ছেড়ে পাশের জেলা নদিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপির সাংসদ তথা বর্তমান বিধায়ক জগন্নাথ সরকার।
এবার রাজ্য ছেড়েই বাঙালীদের পলায়ন করার ঘটনা সামনে এল। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস থেকে প্রাণ বাঁচাতে বিজেপির কর্মীরা বাংলার প্রতিবেশী বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানান অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপির বিধায়ক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একটি টুইট করে লিখেছেন, ‘৩০০ থেকে ৪০০ বিজেপির কর্মীরা বাংলায় বেড়ে চলা হিংসার ভয়ে ধুবরিতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা তাঁদের মাথা গোজার স্থান আর খাবারের বন্দোবস্ত করে দিয়েছি। দিদির উচিৎ গণতন্ত্রের এই নগ্ন নাচ বন্ধ করা। বাংলা এর থেকে ভালো কিছু পেত।” হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে কয়েকটি ছবিও টুইট করেছেন।
In a sad development 300-400 @BJP4Bengal karyakartas and family members have crossed over to Dhubri in Assam after confronted with brazen persecution & violence. We’re giving shelter & food. @MamataOfficial Didi must stop this ugly dance of demonocracy!
Bengal deserves better. pic.twitter.com/d3MXUvgQam
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) May 4, 2021
অসমের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সোমবার একটি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘২৪ ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে বিজেপি অসমে জিতেছে। একজন কংগ্রেসের কর্মীকে কটাক্ষ পর্যন্ত করা হয়নি, হাতাহাতি-মারধোর তো দূরের কথা। কিন্তু বাংলার দিদি আর দাদারা মিলে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে, বিজেপির কর্মীদের খুন করা হচ্ছে, সভ্য সমাজ কি পার্থক্যটা দেখতে পাচ্ছে?”
Over 24 hours that @BJP4India won elections in Assam. Not a single Congress workers taunted, forget about being attacked. Not too far in Bengal, Didi's Dadas have unleashed a reign of terror, assaulting & murdering BJP workers.
Can the 'LIBERALS' spot the difference?— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) May 3, 2021
আরেকদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ছড়িয়ে পড়া হিংসা নিয়ে শীর্ষ আধিকারিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে।