বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রায় সুনামি হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যেই। আর সেই ঢেউয়ের সামনে খড়কুটোর মতো ভেঙে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। চাহিদামত অক্সিজেন না থাকা, আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যার অভাব পরিস্থিতিকে করে তুলেছে রীতিমতো জটিল। প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতেও। ফের একবার অর্থনীতির উপর করোনার থাবাকে এবার একগুচ্ছ নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন আর বি আই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। ভারতের করোনা যুদ্ধে ব্যাংক এবং নতুন নতুন শিল্প গুলির পাশে দাঁড়িয়ে একগুচ্ছ নতুন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন আর বি আই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসঃ
১.করোনার ফলে আপৎকালীন স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাকে চাঙ্গা করতে নগদ ৫০ হাজার কোটি টাকা বাজারে আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এই টাকা ঋণ হিসেবে ভ্যাকসিন নির্মাতা, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ , অক্সিজেন উৎপাদকদের দিতে পারবে ব্যাঙ্কগুলি। এই ঋণের সময়কাল ৩১ মার্চ অবধি। করণা আবহে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি সাধনের জন্যই এই নির্দেশ আর বি আইয়ের। যার দ্বারা উপকৃত হবে বহু হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সংস্থা গুলি।
২.ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প গুলিকে ২৫ কোটি টাকা অবধি ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এর আগে ফ্রেমওয়ার্ক ১.০ তে যেসব ছোট শিল্প অর্থাৎ এম.এস.এম.ই সরকারি তরফে ঋণ সাহায্য পাননি, তারা যাতে এবার ঋণের আওতায় আসতে পারেন সেই কারণেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করলো আর বি আই।
৩.কেওয়াইসি নিয়ে আজ বড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল আর বি আই। আর বি আই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান , সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভিডিও কেওয়াইসির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৪. ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওভারড্রাফটের ক্ষেত্রে এদিন রাজ্য সরকারকেও বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় আর বি আই তরফে।
৫.এসএলটিআরও-র মাধ্যমে স্মল ফিন্যান্স ব্যাঙ্কগুলির জন্যও ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
সব মিলিয়ে এই প্রকল্প গুলি এখন আগামী দিনের করোনা পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কতখানি সাহায্য করে, সে দিকেই নজর থাকবে সকলের। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই দ্রুত পদক্ষেপ যে প্রশংসনীয় এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।