বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রথম দফার ভোটের দিনই শিরোনামে উঠে এসেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি প্রলয় পাল। সেদিন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হওয়া কথোপকথনের অডিও টেপ ফাঁস করেছিলেন। ওই অডিও টেপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে জেতার জন্য প্রলয় পালের কাছে সাহায্য চাইতে শোনা গিয়েছিল। যদিও প্রলয় পাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের উপর স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন যে, তিনি এটা করতে পারবেন না। তিনি বিজেপিকে মন দিয়ে ভালোবাসেন আর এরজন্য তিনি প্রাণও দিতে পারেন।
এরপর রাজ্য রাজনীতিতে একের পর এক অডিও টেপ, ফোন কল ফাঁস হতে থাকে। প্রতিটি ফাঁস হওয়া অডিওই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দেয়। তবে, বেশ কয়েকদিন এই ফাঁস হওয়া বন্ধ ছিল। কিন্তু ভোট গণনা শেষ হতেই আরও একটি অডিও টেপ ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া এই নতুন অডিও টেপ বিজেপি নেতা প্রলয় পাল আর নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বলে দাবি করা হচ্ছে।
ভাইরাল হওয়া ওই অডিও টেপে শুভেন্দু অধিকারী প্রলয় পালকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমরা যেখানে দুর্বল সেখানে যাওয়ার দরকার নেই। আমাকে ওঁরা ইট ছুঁড়েছিল, বুলেট প্রুফ গাড়ির জন্য বেঁচে গিয়েছি। তোমরা ওখানে গেলে, তোমাদের পুঁতে ফেলবে। হিন্দুদের হিন্দু এলাকায় এক হয়ে থাকতে বলুন, ধৈর্য ধরুন, আমি এলাকা ঘুরিয়ে দেব। এর আগেও ঘুরিয়েছি।”
এছাড়াও ওই অডিও টেপে শুভেন্দু অধিকারী বলতে শোনা গিয়েছে যে, আমাদের কর্মীদের জন্য হিন্দু এলাকা অথবা যেখানে আমাদের জোর বেশি সেখানে সেফ হাউস করুন। খাওয়া দাওয়ার কথা চিন্তা করতে হবে না। সব ব্যবস্থা করে দেব। দরকার পড়লে পুরুলিয়া অথবা ঝাড়গ্রামে কর্মীদের নিয়ে গিয়ে সুরক্ষিত রাখুন। ওখানেও সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে।শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায় যে, হিন্দু এলাকায় শুভেন্দু ৫০০ ভোট আর মমতা ৩০০ ভোট পেয়েছে। আর মুসলিম এলাকায় মমতা ৮০০ ভোট শুভেন্দু শূন্য ভোট পেয়েছে। এবার হিন্দুরা বুঝুক যে ওঁরা কি করেছে।
ফাঁস হওয়া অডিও টেপ নিয়ে প্রলয় পাল বলেন, আমার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। তিনি এও বলেন যে, আমার সঙ্গে দলের উচ্চপদস্থ নেতাদের কথা হতেই পারে। এতে আপত্তির কি আছে? এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুদা কি করণীয় সেই পরামর্শই দিয়েছেন আমাকে। আমি ওনার পরামর্শ পালন করার চেষ্টা করব। যদিও, এই ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।