বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরমাণু বিজ্ঞানেও এগিয়ে আসতে হবে ভারতকে। অন্য কেউ যতক্ষণ না আক্রমণ করছে ততক্ষণ সামনে থেকে আক্রমণ করবে না ভারত। কিন্তু পরমাণু বিজ্ঞানী তার অগ্রগতি বন্ধ হবে না। এমনটাই স্বপ্ন দেখেছিলেন ভারতের মিসাইল ম্যান এপিজে আবদুল কালাম। তার নেতৃত্বেই ১৯৯৮ সালে রাজস্থানের পোখরানে মরুভূমির মধ্যে হাইড্রোজেন বোমার সফল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ভারত। ছিল বড় বড় দেশগুলির চোখ রাঙানি, কিন্তু সেদিন তার সমস্ত তাই উপেক্ষা করে এগিয়ে এসেছিলেন পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালাম। তার যথাযোগ্য সঙ্গ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীও। ভারতীয় সেনা, ডিআরডিও এবং ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগী সেদিন তৎপরতার সঙ্গে এই অসামান্য বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনকে সফলতা দিতে সমর্থ হয়েছিল ভারত।
আজ সেই ঘটনার কথা স্মরণ করে জাতীয় প্রযুক্তি দিবস বা ন্যাশনাল টেকনোলজি ডেতে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অসামান্য কর্মকুশলতাকে সম্মান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ দিন পরপর দুটি টুইট করে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অদম্য ইচ্ছা, জেদ এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে সম্মান জানান তিনি।
On National Technology Day, we salute the hardwork and tenacity of our scientists and those passionate about technology. We remember with pride the 1998 Pokhran Tests, which demonstrated India’s scientific and technological prowess.
— Narendra Modi (@narendramodi) May 11, 2021
একদিকে যেমন নিজের প্রথম টুইটে পোখরানের ঘটনাকে স্মরণ করে তিনি লেখেন, “আজ বিশ্ব প্রযুক্তি দিবসে দেশের সেই সমস্ত বিজ্ঞানীদের কঠিন পরিশ্রম ও ধৈর্যকে স্যালুট জানাই যারা সত্যিই প্রযুক্তির প্রতি সত্যিকারের উৎসাহী। আজ আমরা গর্বের সঙ্গে স্মরন করি ১৯৯৮ সালের সেই পোখরান পরীক্ষার কথা যা বুঝিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি কি করতে পারে।”
সাথে সাথেই আরেকটি টুইটে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীদের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন তিনি। তিনি লেখেন, “যে কোনও চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে আমাদের বিজ্ঞানী ও এবং আবিষ্কারকরা সর্বদা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সেই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য কাজ করেছেন। গত এক বছরে, তারা কোভিড -১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কঠোরভাবে কাজ করেছেন। আমি তাদের অসাধারণ উদ্যোমের প্রশংসা করি।”
কোভিডের বিরুদ্ধে এখনো লড়াই করে চলেছে ভারত। কিন্তু ইতিমধ্যে বিভিন্ন গবেষণা জানিয়েছে ভারতীয় ভ্যাকসিন প্রায় ৮০% করোনার মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাবকে প্রশমিত করতে সক্ষম হয়েছে। সেখানেও রয়েছে বিজ্ঞানীদের অসামান্য উদ্যম এবং কঠিন পরিশ্রম। আর সেই কারণেই আজ বিশ্ব প্রযুক্তি দিবসে তাদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী।