বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশের চরম সংকটের সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ আবারও এগিয়ে এল। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী, কর্ণাটকে ব্রিটিশ আমলের একটি বড় হাসপাতালকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। কর্ণাটকে করোনার প্রকোপ দিনদিন বেড়েই চলেছে, আর এরমধ্যে স্বয়ংসেবকদের এই কাজের জন্য করোনা রোগীরা অনেক উপকৃত হবেন।
ভারত গোল্ড মাইনস লিমিটেড হাসপাতাল (BGML) কয়েক দশক ধরে জীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এই হাসপাতাল ১৮৮০ সালে দুই ইংরেজ ভাই স্থাপন করেছিলেন। এই হাসপাতালটি ৮০০ শয্যা বিশিষ্ট। ২০ শতকের শুরুতে এটাই এশিয়ার সবথেকে বড় হাসপাতাল ছিল বলে জানা যায়।
কর্ণাটকের কোলার জেলায় করোনার প্রকোপ দিনদিন বেড়েই চলেছে। আর করোনা ক্রমবর্ধমান গ্রাফের কথা মাথায় রেখে সেখানকার সাংসদ এস মুনিস্বামী স্থির করেন যে, একটি নতুন হাসপাতাল গড়তে অনেক সময় লাগবে আর সেই কারণে ব্রিটিশ যুগের এই হাসপাতালকে আবারও সঞ্চালন করা হোক। তিনি হাসপাতালটিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আর সেটিকে কোভিড কেয়ার সেন্টার বানানোর জন্য স্বয়ংসেবকদের সাহায্য নেন।
https://twitter.com/mvmeet/status/1393081253113384964
BGML কে করোনা কেয়ার সেন্টার বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সাংসদ বলেন, ‘সঙ্ঘ পরিবার আর অন্য সংগঠনের সঙ্গে পরামর্শ করার পর আমরা ২০০+ বেডের কোভিড কেয়ার সেন্টার স্থাপিত করার নির্ণয় নিই। এই হাসপাতালটিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ২৫০ স্বয়ংসেবক কঠোর পরিশ্রম করেছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে হাসপাতালে খুলে দেওয়া হবে।
প্রায় ২০ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা হাসপাতালটিকে কোভিড কেয়ার সেন্টারে বদলানোর জন্য RSS আর বিজেপির কর্মীরা সাফাইয়ের দায়িত্ব নেয়। সংগঠনের এক কর্মীর মতে, ওই হাসপাতালটি পরিস্কার করার সময় ৪০০-র বেশি ট্র্যাক্টর আবর্জনা হটানো হয়েছে।