বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে বিধানসভার ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর রাজনৈতিক হিংসার তদন্ত করতে দুই দিনের জন্য রাজ্যে আসা জাতীয় তফসিলি কমিশন (NCSC) এর চেয়ারম্যান বিজয় সাম্পলা শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুরতর অভিযোগ করেছেন। তিনি শুক্রবার একটি প্রেস বার্তায় জানান, ‘২ মে-এর পর বাংলায় যা ঘটেছে, তা খুবই চিন্তাজনক। ১৯৪৭ সালের পর এই প্রথম ধর্ষণ, হত্যা হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। আর এই হিংসায় সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষরা।”
সাম্পলা আরও বলেন, ‘বাংলায় দলিতদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৬২৭ টি হিংসার মামলা সামনে এসেছে। এগুলোর মধ্যে ১০ থেকে ১২টি ধর্ষণের মামলা। এছাড়াও ১৫ থেকে ২০ জনের হত্যার মামলাও সামনে এসেছে।” NCSC-র চেয়াম্যান বলেন, ‘এক সপ্তাহে দলিতদের উপর ৬৭২টি হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে। আমি ADGP কে জানিয়েছি যে, এলাকার SHO-র বিরুদ্ধেও যেন তদন্ত হয়। হিংসায় যাদের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের সাহায্যের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসা উচিৎ।”
So far 1,627 cases including 10-12 rapes, 15-20 murder cases of violence against SC community; 672 new cases reported. I have told ADGP to probe against SHO. Rehabilitation (of villagers) should be borne by State: NCSC chief on post-poll violence in Bardhaman East, WB
— ANI (@ANI) May 14, 2021
বিজয় সাম্পলা বলেন, ‘যখন আমি আমি নবগ্রামে যাই, তখন পুলিশ আমাকে বলে এই হিংসা দলিতদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হয়েছিল। যদিও, তদন্তে জানা যায় যে এই হিংসায় উচ্চবর্ণের মানুষেরাও যুক্ত ছিল। এক দলিত ব্যক্তি যখন পুলিশের কাছে অভিযোগ নিয়ে পৌঁছায়, তখন তাঁর উপর প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা করা হয় এবং থানায় যাওয়ার অপরাধে তাঁর বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়।”
আরেকদিকে, শনিবার রাজ্যের রাজ্যপাল নন্দীগ্রামে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক বিজেপি সমর্থকের মা রাজ্যপালের সামনে কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে যান। এই ঘটনার দেখার পর রাজ্যপালের চোখ দিয়েও জল বেরিয়ে আসে। শনিবার রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারিও দেন। তিনি বলেন যে, আমাকে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করার জন্য বাধ্য করবেন না।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা