বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ বাড়ির ভিত খুঁড়তে গিয়ে উদ্ধার হলো এক প্রাচীন পাথরে খোদাই মূর্তি। মূর্তি কোন দেবীর তা বোঝা না গেলেও ইতিমধ্যেই ভক্তিভরে তার পূজা শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিমতিতা জিয়ৎকুন্ডু গ্রামের বাসিন্দা লোহারাম সিংহের বাড়ি তৈরীর জন্য ভিত খোঁড়ার কাজ চলছিল।
সে সময়ই কোদালের আঘাত পাথরের মতো কিছুতে লাগে। মাটি সরাতে গিয়ে আবিষ্কৃত হয় এই মূর্তিটি।স্বাভাবিকভাবেই মূর্তি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকায়। কারণ পাথরে তৈরি হলেও কোন দেবীর অবয়ব তা ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা।
ইতিমধ্যেই ব্রাহ্মণ ডেকে তেল সিঁদুর মাখিয়ে মূর্তিটির পুজো শুরু করেছেন লোহারাম সিংহ। আপাতত তার প্রতিবেশী হরিপদ দাসের তুলসী তলাতেই রাখা হয়েছে মূর্তিটিকে। ভারতের পুরাতত্ত্বের ইতিহাসে একাধিক জিনিস আবিষ্কৃত হয়েছে এভাবেই।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুঁথি বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ আবিষ্কার করেছিলেন গোয়াল ঘরের মাচা থেকে। তাই এই মূর্তিটি প্রাচীনকালের কোন ইতিহাস বহন করছে কিনা বলা মুশকিল। এখন অবশ্য গ্রামে এসে পৌঁছাননি পুরাতত্ত্ব বিভাগের কোন আধিকারিক। তবে মূর্তিটিকে দেখতে ইতিমধ্যেই ভিড় করছেন স্থানীয় এলাকার গ্রামবাসীরা।
ইতিমধ্যেই খবর পাঠানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে। খুব শীঘ্রই হয়তো প্রতিনিধি পাঠাবেন জিয়ৎকুন্ডু গ্রামে। এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিনিধি না এলেও লোহারাম সিংহ জানিয়েছেন, যদি প্রশাসন এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নেয়। তাহলে যেভাবে পুজো চলছে সেভাবেই চলতে থাকবে। তবে অনেক বিখ্যাত সুপ্রাচীন বস্তু আবিষ্কার হয়েছে এভাবেই। সেক্ষেত্রে হতেও পারে মূর্তিটি আসলে বহন করছে ইতিহাসের কোন স্মৃতি।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা