বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সকাল থেকে সিবিআই-এর কর্মকাণ্ডে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আর সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দাখিল করা হচ্ছে। আর এরই মধ্যে এবার নারদ মামলায় তৎপর হয়েছে ইডি-ও। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ইডি ধৃত এই চার নেতার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদ স্ট্রিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসে। যদিও, এই স্ট্রিং অপারেশন সেবারের নির্বাচনে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। সেই ঘটনার পর থেকে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। আর্থিক লেনদেন বিষয়টি থাকার জন্য সিবিআই-এর পাশাপাশি ইডিও অভিযুক্ত নেতা এবং নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলকে বেশ কয়েকবার জেরা করেছে।
আরেকদিকে, দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে কার্যত ধরনা দেওয়র পর বেরিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ‘এখন কিছু বলব না, যা বলার কোর্টে বলা হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এছাড়াও এই ইস্যুতে বামেরা তৃণমূলের পাশে দাঁড়ায়। সিপিএমের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা বলা হয়েছে যে, কেন্দ্র সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এখন সিবিআই নিয়ে খেলছে।