বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত এবার চরমে পৌঁছেছে। সিরিয়াস মুডে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও (mamata banerjee)। বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankar) অপসারণ চেয়ে সরাসরি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলার রাজ্যপাল পদে আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে নানারকম সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে একাধিক বার অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে বিজেপির সুরে কথা বলছেন রাজ্যপাল। এমনকি রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসাত্মক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিজেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সংঘর্ষের জায়গাগুলোতে।
যার পরবর্তীতে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে রাজ্য সরকার। তবে বর্তমানে আরও একটি জোরালো কারণে রাজ্যপালের অপসারণের চেয়ে চিঠি লিখতে দ্বিতীয়বার ভাবলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার রাজ্যের চার প্রাক্তন এবং বর্তমান মন্ত্রীদের নারদ মামলায় গ্রেফতারের জন্য, মমতা ব্যানার্জির তৃতীয় মন্ত্রিসভার শপথের ঠিক আগেই অনুমতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
শুধু তাই নয়, গতকাল যখন নিজাম প্যালেসের বাইরে তৃণমূল সমর্থকরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময়ে সিজিও কমপ্লেক্সে থাকাকালীনই মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, এই ফোন পাওয়ার পর দুপক্ষের মধ্যে হওয়া উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরবর্তীতেই রাজ্যপালের অপসারণের চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেন মমতা ব্যানার্জি। এখানেই শেষ নয় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পর বিধানসভায় রাজ্যপালের অপসারণের দাবিতে প্রস্তাবও পেশ করতে চলেছে তৃণমূল। প্রয়োজনে রাজ্যপালকে ‘বয়কট’-র ডাকও দিতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।