বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সারাদেশে এই মুহূর্তে প্রায় সুনামিতে পরিণত হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সুস্থতার হার প্রায় ৮৫.৬০℅ হলেও আশঙ্কার মেঘ এখনো কাটেনি। গত ২৪ ঘন্টাতেও আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮১ হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যা তো রীতিমতো রেকর্ড ভেঙেছে গত চব্বিশ ঘণ্টায়। শুধু তাই নয় যথেষ্ট চিন্তার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে ঘিরেও। দেশের যে আটটি রাজ্যে সংক্রমনের সংক্যা প্রতিদিন দশ হাজার ছাড়াচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম হল পশ্চিমবঙ্গ। এমতাবস্থায় কোভিডের রামবান ২-ডিজি নিয়ে বড় বয়ান দিল নীতি আয়োগ।
২-ডিজির শেষ পরীক্ষা করবে কোভিড ১৯ ন্যাশানাল টাস্ক ফোর্সঃ
ডিআরডিওর বরিষ্ঠ তিন বিজ্ঞানী সুধীর চান্দনা, অনন্ত নারায়ন এবং অনিল কুমার মিশ্র আবিস্কৃত ২-ডিজিকে কোভিড প্রোটোকলে সামিল করা যেতে পারে বলেই জানিয়েছে তারা। তবে নীতি আয়োগের সদস্য ডাক্তার ভিকে পাল জানান, এবিষয়ে চুড়ান্ত সিধান্ত নেবে কোভিড ১৯ ন্যাশানাল টাস্ক ফোর্স। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই রামবান ওষুধকে এর আগেই জরুরি ভিত্তিতে ব্যাবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই হায়দ্রাবাদের রেড্ডিস ল্যাবের যৌথ উদ্যোগে বাজারে এসেছে ডিআরডিওর তৈরি এই ওষুধের প্রথম ব্যাচ। সংস্থা সম্পর্কে আগেই জানানো হয়েছে এতে থাকছে ওষুধের দশ হাজার ডোজ। এখন কোভিড ১৯ ন্যাশানাল টাস্ক ফোর্সের ছাড়পত্র পেলেই ভারতে কোভিড চিকিৎসার প্রোটোকলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে এই ওষুধ। যদিও তা কতখানি রামবান, তার প্রমান দেবে সময়ই৷ তবে বিজ্ঞানীদের মতে তিন দফার ট্রায়ালে প্রায় তিনশোরও বেশি মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং সুফল মিলেছে।
কবে আসছে শিশুদের কোভ্যাকসিনঃ
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জ্বালায় এই মুহূর্তে রীতিমতো জর্জরিত মানুষ। তার ওপর বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, আসতে চলেছে কবিরের তৃতীয় ঢেউও এবং তা সবথেকে বেশি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে শিশুদের জন্য। এমতাবস্থায়, শিশুদের জন্য কবে আসবে ভ্যাকসিন তা একটি বড় প্রশ্ন? ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে ভারত বায়োটেক। ২-১৮ বছর বয়সীদের কোভ্যাকসিন বানাতে বদ্ধপরিকর তারা৷ এদিন এই বিষয়ে বড় বয়ান দেন নীতি আয়োগের সদস্য ডক্টর ভি.কে পাল। তিনি জানান,২-১৮ বছর বয়সীদের জন্য কোভ্যকসিন বানানোর কাজ পুরোদমে চলছে। আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যেই শুরু হবে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ট্রায়াল।
এই মুহূর্তে দেশের জন্য বড় স্বস্তির খবর হল, নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থতার সংখ্যা প্রায় অনেকটাই বেশি। স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনাকে হারিয়ে ঘরে ফিরেছেন প্রায় ৪ লক্ষ ২২ হাজার ৪৩৬ জন মানুষ। তবে ২-ডিজির চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার শুরু হলে এই সংখ্যা যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।ই