ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস মেয়ে প্রিয়দর্শিনীর, সরগরম রাজ্য রাজনীতি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নারদ কান্ড নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই তদন্তের পর জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন কলকাতা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে জামিনের আবেদনেও। ফলতো এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন এই চার অভিযুক্ত। যদিও অসুস্থতার কারণে এসএসকেএম-এ ভর্তি করা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রকে। তবে জেল হেফাজতেই রয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম। এরইমধ্যে আজ ছিল নারদ কান্ডের দ্বিতীয় দিনের শুনানি। শুনানিতে ফের একবার খারিজ হয়ে জামিনের আবেদন। ভালো তো আপাতত বৃহস্পতিবার অবধি জেনেভা যদি থাকতে হবে চার হেভিওয়েট নেতাকে। ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে সিবিআইকে ব্যবহার করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।

এবার সেই অভিযোগেই আরো কিছুটা সুর চালালেন ববি হাকিম কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। এদিন সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, “যারা বিজেপিতে যোগ দেননি শুধুই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাবাকেও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নারদ কান্ডে যুক্ত ছিলেন মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কুদেব পণ্ডারাও। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে কোন পদক্ষেপ নেয়নি সিবিআই। আর সেই কারণেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন ববি কন্যা। যদিও এ বিষয়ে এর আগেই বিবৃতি দিয়েছে সিবিআই। তারা জানিয়েছে,বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূল কংগ্রেসের আরো তিন সাংসদকে গ্রেফতার করার জন্য ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠানো হয়েছে লোকসভার স্পিকারের কাছে। ২০১৯ সালেই সেই চিঠি জমা দেয় সিবিআই। কিন্তু এখনো কোনো উত্তর দেননি স্পিকার। তবে এদিন আরো একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে এই মর্মে।

যদি ফিরহাদ-কন্যার অভিযোগ, “সিবিআই বিজেপির তোতাপাখি। বিজেপিতে যোগ দিলে তুমি গ্রেফতার হবে না, নাহলে জেলে থাকবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাবার গ্রেপ্তারের পরেই সিবিআই এর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন প্রিয়দর্শিনী। তার মতে বাংলায় বিজেপি ভোটে জিততে পারেনি, আর তাই এভাবে অশান্তি সৃষ্টি করে রাষ্ট্রপতি শাসনের ফাঁদ তৈরি করছে। ফের একবার বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগেই সরব হতে দেখা গেল ফিরহাদ-কন্যাকে। প্রসঙ্গত এ কথা স্মরণ করা দরকার যে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করার আবেদন করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে তার মধ্যে প্রিয়দর্শিনী এই বক্তব্য যে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।

Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর