বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে আগে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস (All India Trinamool Congress)। একের পর এক প্রভাবশালী নেতা, মন্ত্রী, বিধায়করা দল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। সেই সময় তৃণমূলে এমন ভাঙন দেখে সবাই ধারণা করেছিল যে, এবার হয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর ফিরে আসা সম্ভব না। কিন্তু সবার ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে আগের বারের থেকেও বেশি আসন নিয়ে মসনদে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই ব্যাপক জয়ের পরই দলত্যাগিদের গলায় উল্টো সুর শোনা গিয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারীর পর তৃণমূলের যেই নেতাকে নিয়ে সবথেকে বেশি মাতামাতি ছিল, তিনি হলে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিনি বিজেপির টিকিটে হাওড়ার ডোমজুর কেন্দ্র থেকে লড়েন। কিন্তু ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরে যান তিনি। আর হারের পর থেকেই উনি অন্তরালে। ওনাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তিনি বিজেপিতেই আছেন? নাকি তৃণমূলে ফিরে যাবেন? তখন রাজীববাবু বলেন, ‘আমি বর্তমানে করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত, এখন রাজনীতি নিয়ে কথা বলব না।”
বালির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই দিনে দিল্লীতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তিনিও এবার বিজেপির টিকিটে বালি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হারের মুখ দেখেন। ওনাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি আবার তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছেন নাকি? তখন তিনি বলেন আমি বিজেপিতেই আছি।
আরেকদিকে অরিন্দম ভট্টাচার্য নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনিও প্রাক্তন বিধায়ক। আর তিনি এবার বিজেপির টিকিটে লড়াই করে হারের মুখ দেখেন। ওনাকে তৃণমূলে ফিরে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, আমি আর তৃণমূলে ফিরছি না।
সব্যসাচী দত্ত বহুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এবার তিনি বিজেপির টিকিটে লড়ে সুজিত বসুর কাছে পরাজিত হন। ওনাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি বিজেপি ছাড়ছি না।
ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে অভিমানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি এবার ওনাকে টিকিট দেয়নি। সম্প্রতি করোনাকালে নারদা কেস নিয়ে সিবিআই-এর তৎপরতা আর নেতাদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি বিজেপি ছাড়েন। আগামী দিনে তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোনালী গুহ নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। শনিবার একটি টুইট করে তিনি ফের তৃণমূলে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানান। আরেকদিকে, ইটাহারের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, এবার তিনি আবারও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।