অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ, ডাক্তার যাই লাগুক শুধু ফোন করুন! কোভিড-ইয়াসের মধ্যে দারুণ উদ্যোগ কলকাতার যুবকের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে চলছে কোভিড অন্যদিকে ক্রমশ এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। দুই নিয়ে এখন রীতিমত আতঙ্কে রাজ্যবাসী। ইতিমধ্যেই একদিকে যেমন চরম সর্তকতা জারি হয়েছে রাজ্যের চার জেলায়। তেমনি ইতিমধ্যেই ইয়াস নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। একইভাবে আজ তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইয়াসের মোকাবিলার জন্য বেশ কিছু বিষয়ে পরামর্শও দেন তিনি। এই মুহূর্তে চলছে কোভিড পরিস্থিতি, রোজই কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন রাজ্যজুড়ে। তাই এই বিষয়ে একান্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি জানান, ঝড়ের পর হয়তো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। তাই বিশেষত অক্সিজেন এবং করোনার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র যাতে যথেষ্ট পরিমাণে মজুত থাকে। সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। গতবার প্রাণ পরিষেবা নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। আর তাই এবার সরকারকে সরাসরি ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যে এন সি সি ও সিভিল ডিফেন্সকে যুক্ত করারও পরামর্শ দেন তিনি। একইসঙ্গে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং অক্সিজেন প্লান্টের উৎপাদন বিষয়ক রাজ্যকে নজর রাখার পরামর্শ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অন্যদিকে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের পাশে উপান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ৬৫ টি বিশেষ দল ইতিমধ্যেই নিয়োগ করা হয়েছে উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য। একদিকে যখন এভাবে এগিয়ে আসছে সরকার। তখন এগিয়ে এলেন বিজেপির স্বাস্থ্য পরিষেবা সেলের সঙ্গে যুক্ত এক যুবকও। এদিন দেবাদিত্য চাকী নামের ওই যুবক সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “ইয়াস সুপার সাইক্লোনে আহত যে কেউ যোগাযোগ করুন আমার সঙ্গেঃ ৮২৭৪০২৩৮৮৮। অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ, ডাক্তার এবং ত্রাণ নিয়ে থাকবো আপনাদের পাশে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওই যুবক বলেন,”এই জনসেবামূলক কাজ শুধু আমার একার নয়, আমাদের যে পরিবার অর্থাৎ স্বাস্থ্য পরিষেবা সেল, ২০১৭-২০ সাল অবধি আমি যার রাজ্য কনভেনর ছিলাম। সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য, আমরা নিজেদের কোনো প্রমোশনের জন্য সোশ্যাল ওয়ার্ক করিনা। আমাদের প্রজেক্ট হল সরকারি হাসপাতালে সাধারণভাবে যে রোগীরা আসেন তারা প্রত্যেকেই মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত। এখন শুধু করোনা চলছে বলে নয়, করোনার আগেই হোক বা পরে আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি দালাল চক্রের হাত থেকে বাঁচিয়ে লগি যাতে তার জন্য নির্দিষ্ট পরিষেবাটি পায়। যে কাজ সরকারের করা উচিত, আমরা সরকারের বিপক্ষে থেকেও জনতার স্বরকে সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে সেই কাজটাই টেবিল চাপড়ে করে আসছি। আগামী তিন-চার দিন এভাবেই মানুষের পাশে থাকব। শুধু আমি না থাকবেন আমাদের সমস্ত কার্যকর্তাই।”


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর