ইয়াসের তাণ্ডবের আগেই চূড়ান্ত অব্যবস্থা ত্রাণ শিবিরে! জল, খাবার, আলো না মেলার অভিযোগ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একই কোভিড তায় ইয়াস দুই নিয়ে এখন রীতিমত বিপর্যস্ত বাংলা। একদিকে অবশ্য কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে রাজ্যবাসী। ওড়িশার চাঁদবালি এবং ধামারা অঞ্চলে ল্যান্ডফল হওয়ায় ততখানি দুর্যোগের মুখ নাও দেখতে হতে পারে বাংলাকে। তবে উপকূলবর্তী অঞ্চলে গুলিতে এখনো আশঙ্কা রয়েছে যথেষ্টই। ইতিমধ্যেই মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। কিন্তু এরই মাঝে ত্রাণ ব্যবস্থা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠলো সন্দেশখালি রিলিফ ক্যাম্প।

গত কয়েকদিন ধরেই লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। আবহাওয়াবিদদের অনুমান অনুযায়ী, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি তো বটেই তার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝোড়ো হাওয়া বইবে এই অঞ্চলে। ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার অবধি। কাঁচা মাটির বাড়ি গুলির ক্ষেত্রে যা ভীষণরকম ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। ইতিমধ্যেই তাই রিলিফ ক্যাম্প সরিয়ে আনা হয়েছে অনেকেই। কিন্তু এই সন্দেশখালি সাইক্লোন রিলিফ ক্যাম্প সেন্টারেই উঠল অব্যবস্থার চরম অভিযোগ। গ্রামবাসীরা জানান আলো নেই, জল নেই, এমনকি খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়নি তাদের জন্য। একজন গ্রামবাসী বলেন, “কাল সারারাত অন্ধকারে থাকতে হয়েছে। আলো নেই পাখা নেই। ” অন্যজন জানান, “খাবারের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। শুধু তাই নয় একই ঘরে থাকতে হচ্ছে অনেক জনকে। এখানে আমরা কোন ব্যবস্থাই পাইনি। এখন চারদিকে কোভিড চলছে এমন অবস্থায় বড় বিপদ হলে কি করবো বলুন তো?” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য করোনার সংক্রমণের ক্ষেত্রেও সর্বদাই ওপরের দিকে থেকেছে উত্তর ২৪ পরগনার নাম। গত ২৪ ঘন্টাতেও নতুন করে করােনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৭৯৩ জন। এমতাবস্থায় এইরকম অরাজগতা চলতে থাকলে সংক্রমণ যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।

এখনো এসে পৌঁছায়নি ইয়াস, তার আগেই রিলিফ ক্যাম্প এ ধরনের অব্যবস্থা দেখে রীতিমতো আশঙ্কিত সকলে। কারণ এই সুপার সাইক্লোন আছড়ে পড়ার পর অনেক ক্ষেত্রেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে আরো বড় সমস্যা তৈরি হবে ত্রান শিবিরগুলোতে। তাই আগে থেকে কেন শুকনো খাবার, মাস্ক, স্যানেটাইজার, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র এবং অন্যান্য ব্যবস্থা রাখা হলো না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে বকখালিতে প্রায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১৬ হাজার মানুষকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ত্রাণ শিবিরগুলিতে কোভিড বিধি পালিত হলেও কিছু ক্ষেত্রে সামনে আসছে সন্দেশখালির মতই ছবি। যা রীতিমত কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন এবং সরকারকে।


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর