বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার মাঝেই চোখ রাঙাচ্ছে আরও এক মহামারি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (black fungus) বা মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণ। বাংলায় (west bengal) দ্রুতই বাড়ছে এই রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। এই রোগে মৃত্যুর হার বেশি হওয়ায়, করোনার পাশাপাশি এই ভাইরাসকেও মহামারি আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার বাংলায় আরও ৫ জন এই বিরল প্রজাতির রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও অবধি গোটা দেশে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজারেরও বেশি। তবে চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছেন, এই ভাইরাস করোনার মত স্পর্শবাহী নয়।
চিকিৎসকদের মতে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার ক্ষেত্রে আংশিকভাবে চোখ, নাক বা মুখের অন্য কোনও অংশ কেটে বাদ দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আর এই রোগে মৃত্যুর হারও অনেক বেশি। সাধারণভাবে, করোনা সংক্রমিতদের সুস্থ করার জন্য তাঁদের শরীরে স্টেরয়েড প্রয়োগ করা যায়, যার কারণে শরীরে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। আর এই অবস্থায় যদি কোন অসুস্থ ব্যক্তি স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় থাকেন, তাহলে তাঁর শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধে।
বাংলায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কবলে পড়ে প্রথম প্রাণ হারান কলকাতায় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে চিকিৎসারত শম্পাদেবী।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলার প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত ব্যক্তি ছিলন হরিদেবপুরের শম্পা। করোনা আক্রান্ত শম্পা দেবী অনিয়ন্ত্রিত ব্লাডসুগার ও মিউকরমাইকোসিস নিয়ে শম্ভুনাথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায়, তাঁকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে চিকিৎসকরা। প্রতি মিনিটে প্রায় প্রায় ১২ লিটার অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাকের উপর কালো ছোপ দেখে পরীক্ষা করতেই চিকিৎসকদের সন্দেহ মিলে যায়। দেখা যায় তাঁর সাইনাস, মস্তিষ্ক ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। তড়িঘড়ি অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি দিয়ে তাঁর চিকিৎসা শুরু করলেও শেষরক্ষা হয় না।