বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একে করোনা আবহ, তারউপর চলছে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির হিসেব। এরই মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (alapan banerjee) বদলির বিজ্ঞপ্তি নিয়ে তুঙ্গে কেন্দ্র- রাজ্য সংঘাত। করোনা আবহে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। প্রথমে সেই কেন্দ্র সেই আর্জিতে সম্মত হলেও, পরে তা খারিজ করে দেয়।
আগামী ৩১ শে মে রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব শেষ হচ্ছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে তাঁকে আরও ৩ মাসের জন্য রাজ্যের দায়িত্বে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু প্রথমে কেন্দ্র সরকার এই আবেদনে মানত্য দিলেও, পরে চিঠি মারফত জানায়- ‘আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিক রাজ্য সরকার। নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরে আগামী ৩১ শে মে তাঁকে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে’। আর কেন্দ্রের এই চিঠি পাওয়ার পর থেকেই আবারও তুঙ্গে উঠল কেন্দ্র- রাজ্য সংঘাত।
তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবিষয়ে মোদি-শাহকে আক্রমণ করে বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এমনটা কখনও হয়নি। মমতা ব্যানার্জীর বিপুল জয় এবং মোদী-শাহকে বাংলার মানুষের অপদস্ত করাটা- সহ্য করতে না পেরেই এসব করছে। আর কত নীচে নামবে?’
এপ্রসঙ্গগে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ‘বিপুল জনাদেশ নিয়ে বাংলায় আবারও তৃণমূল সরকারের আগমন এবং নিজেদের ভরাডুবি একদম হজম করতে পারছে না বিজেপি। যার কারণেই, বাংলার ক্ষতির জন্য এসব করছে ওঁরা। এই সংকটের পরিস্থিতিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রশাসনকে মসৃণ রাখতে চেয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জী। কিন্তু রাজ্য সরকারের ভালো কাজ ওদের সহ্য হচ্ছে না’।
অন্যদিকে এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। তিনি জানান, ‘ভারত সরকারের কর্মচারী হলেন আইএএস অফিসাররা। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত অফিসারকে এখন সরকারের প্রয়োজন। সেইকারণেই এমন সিদ্ধান্ত সরকারের’।