বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘গতকাল কলাইকুণ্ডার বৈঠকে আমিও আমন্ত্রিত ছিলাম’- ভিডিও বার্তায় এসে নিজের মুখেই জানালেন অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। কিন্তু যে সময়ে তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, সেই সময়ে তাঁর পক্ষে বৈঠকে যোগ দেওয়া সম্ভব ছিল না বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে ডাক পেয়েও সেখানে উপস্থিত হতে পারেন নি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
ইয়াস পরবর্তী বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে বাংলায় প্রধানমন্ত্রী এলেও, তাঁর সঙ্গে ভদ্র আচরণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে ৩০ মিনিট বসিয়ে রেখে, মাত্র ৫ মিনিটের জন্য এসে লিখিত আবেদন ধরিয়ে দিয়েই আবারও সেখান থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী- এমনটা অভিযোগ করেছে বিরোধীরা।
কিন্তু এই সমস্ত অভিযোগের পাল্টা যুক্তি এবং জবাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার বলেছেন বাংলার ভালোর জন্য প্রয়োজনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁতেও রাজী, কিন্তু তাঁকে যেন অযথা অপমান, বদনাম না করা হয়। এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল, ইয়াস-পর্যালোচনা বৈঠকে বিরোধী দলনেতাকে কেন ডাকা হল?
জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘ওড়িশার ইয়াস বৈঠকে বিরোধী দলনেতা প্রদীপ নায়েককে ডাকা হলেও, তিনি করোনা পজেটিভ হওয়ার কারণে সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি। বাংলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে বৈঠকে থাকার কথা বলে হলেও, তিনি দিল্লীতে থাকার কারণে আসতে পারেননি। আর আমাকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই ফোন করে ডাকা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মনে হয় এসব জানেন না’।
https://www.facebook.com/INCWestBengal/videos/777083633180656
এবার ভিডিও বার্তায় সেকথা নিজের মুখেই স্বীকার করলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘গতকাল কলাইকুণ্ডার বৈঠকে আমিও নিমন্ত্রিত ছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আমাকে সকাল সাড়ে ৭ টায় খবর দেওয়া হয়। কিন্তু বেলা ২ টোর মধ্যে কলাইকুণ্ডায় পৌঁছানোর মত কোন ব্যবস্থা আমার ছিল না। তাই তখনই আমি বলে দি, যে আমি যেতে পারব না’।