বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এখন বলিউডের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে ”রাধেঃ ইউর ওয়ান্টেড ভাই” সিনেমাটি। বজরঙ্গি ভাইজানের মত সিনেমার পর মেনে নিতে পারেননি সালমানের এই ছবিকে। আইএমডিবি র্যাঙ্কিংয়েও যথেষ্ট নিম্নমানের ছবি বলেই ঘোষণা করা হয়েছে সালমানের ‘রাধে’কে। রীতিমতো ক্ষুরধার সিনেমা সমালোচকরাও। আর তারই জেরে এক সমালোচকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছে সালমানের দল। যার ফলে স্বঘোষিত ক্রিটিক কমল আর খান এখন উঠে এসেছেন রীতিমতো খবরের কেন্দ্রবিন্দুতে। যদিও সালমানের টিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছবি সমালোচনার জন্য নয়। ক্রমাগত সালমানকে ছোট করার জন্যই মানহানির মামলা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সালমান খানের টিমের তরফ থেকে জানানো হয়,”কমল আর খান একগুচ্ছ টুইট এবং ভিডিওর মাধ্যমে সালমান খানকে ছোট করার চেষ্টা করেছেন, কারণ রাধে সম্পর্কে তিনি যে রিভিউ করেছেন তা ঠিক নয়। আর সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে কারণ তিনি ক্রমাগত দেখিয়েছেন সালমান খান একজন দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তি, এও বলেছেন সালমান খান এবং তার ব্র্যান্ড বিভিন্ন অনৈতিক কাজ, প্রতারণা এবং অর্থ প্রতারণার সাথে যুক্ত।”
এর উত্তরে ফের একবার সরব হয়েছেন কে আর কেও। ফেরাজ এ বিষয়ে একগুচ্ছ টুইট করেন তিনি। প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, “বিবেক, জন, অরিজিৎরা সাদাসিধে ছেলে। তবে এবার তারা ভুল লোকের সঙ্গে পাঙ্গা নিয়েছে।”অপর একটি টুইটে ফের তিনি লেখেন, “বলিউডের কুড়ি জনেরও বেশী শিল্পী আমাকে ফোন করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, তারা যা করতে পারেনি তাই আমি করছি। কারণ তারা ওনার সাথে সরাসরি বিতর্কে জড়াতে চান না। কারণ তারা অনেকেই চান না ওকে সরাসরি শত্রু বানাতে।”
এরপর নাম না করে সালমান খানের কেরিয়ার সম্পূর্ণ শেষ করারও বার্তা দেন তিনি। অন্য একটি টুইটে কমল বলেন, “শুনেছি উনি অনেকের কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছেন। যে কখনো ওনার বিরুদ্ধে কথা বলেছে তারই কেরিয়ার শেষ হয়ে গেছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি ওনার কেরিয়ার শেষ করে ওনাকে রাস্তায় নামিয়ে আনব।” সুশান্ত সিং রাজপুতের ঘটনার উল্লেখ করে তিনি জানান, যেটা সুশান্তের সাথে হয়েছে সেটা আর দ্বিতীয়বার বলিউডে করতে দেবেন না তিনি। বলিউড কারো বাবার নয়। সালমান খানের মিথ্যে কথার দোকান এবার বন্ধ হবার সময় হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
শুধু সিনেমার অভিনয় নয়, কেআরকে আক্রমণের বিষয় হয়ে ওঠে সালমানের ব্যক্তিগত জীবনও। অন্য একটি টুইটে তিনি বলেন, “কেন স্টারদের এনজিও দরকার? কেন তারা এই ধরনের এনজিওর পেছনে টাকা খরচ করেন যাতে তাদের ট্যাক্স দিতে না হয়? এ ধরনের এনজিওগুলো শুধু সরকারকে বোকা বানাতে তৈরি হয়েছে, ট্যাক্স বাঁচাতে এবং মাল ভিতরে ঢোকাতে।” তিনি অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী অফিসকে ট্যাগ করে এই টুইটে লেখেন, এ ধরনের দুর্নীতি বন্ধ করতে কিছু করুন।
সব মিলিয়ে একদিকে যেমন সালমানের রাধে সিনেমা উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তেমনি সমালোচক কে আরকের সঙ্গে তাঁর এই যুদ্ধও হয়ে উঠেছে হট টপিক। এখন আগামী দিনে বিষয়টি কোন দিকে গড়ায় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের