বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ঐতিহাসিক নোট বন্দির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল দেশে। অনেক অর্থনীতিবিদদের মতে সেই থেকেই ভারতীয় অর্থনীতির ক্রমাবনতির শুরু। তারপর জিএসটি এবং সর্বশেষে করোনা বিপর্যয় সব মিলিয়ে রীতিমতো ভাঙ্গনের মুখে পড়ে অর্থনৈতিক অবস্থা। মুখ থুবড়ে পড়েছে সরকারের ৫ ট্রিলিয়ন ইকনোমির স্বপ্নও। নোট বন্দির অনেক কারণের মধ্যে, একটি বড় কারণ ছিল কালো টাকা এবং জাল নোটের বাড়বাড়ন্ত বন্ধ করা। তখন জানানো হয়েছিল, নতুন ধরনের এই নোটের ক্ষেত্রে যে কাগজ এবং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে তাতে তা জাল করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু বর্তমানে সামনে আসছে আরেক বিস্ফোরক তথ্য।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, বিশেষত ৫০০ টাকার নোটের ক্ষেত্রে জাল নোটের সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে তা আশঙ্কাজনক। চলতি বর্ষের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে ৩১.৩% বেড়েছে ৫০০ টাকার জাল নোট। যা রীতিমতো চিন্তা বাড়িয়েছে আর বি আই এর। রিজার্ভ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এই জাল নোটের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৪৫৩। যা গত বছর ছিল ৩০০৫৪। অন্যদিকে অবশ্য ১০০ টাকায় এবং ২০০০ টাকার নোটের ক্ষেত্রে জালের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে গত অর্থবর্ষের তুলনায়। তবে সব মিলিয়ে বর্তমানে জাল টাকার অঙ্কটি প্রায় ২৫.৩ কোটি। যা গত বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।
কি করে চিনবেন ৫০০ টাকার নোটঃ
এমতাবস্থায় রিজার্ভ ব্যাংক জানাচ্ছে, জাল নোটের হাত থেকে বাঁচতে বেশ কিছু সতর্কতা পালন করতে হবে গ্রাহকদের।
★৫০০ টাকার জাল নোটের ক্ষেত্রে তাকে আলোয় ধরলে ৫০০ সংখ্যাটি স্পষ্ট ইংরেজিতে লেখা থাকে। আসল নোটের ক্ষেত্রে যা লেখা থাকে দেবনাগরী হরফে।
★ আসল নোটে অবশ্যই থাকবে আর বি আই গভর্নরের স্বাক্ষর, গান্ধীজীর ছবির ডান পাশে গ্যারান্টি ক্লজ এবং প্রতিশ্রুতির বয়ান।
★পুরনো নোটের তুলনায় নতুন নোটে গান্ধীজীর অবস্থান কিছুটা ভিন্ন। জাল নোটের ক্ষেত্রেও গান্ধীজীর ছবি নিয়ে সমস্যা রয়েছে।
★আসল নোটের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভারতের লোগোটি থাকবে নোটের পিছনে বাঁদিকে। এছাড়া নোটের পিছনে দিকে লালকেল্লার ছবি তো রয়েছেই।
অনেক ক্ষেত্রেই রঙ বা কাগজ দেখে জালনোট চেনা যায় না। সেক্ষেত্রে এই বিশেষ ধরনের সতর্কতাগুলো পালন করুন। আর বি আই জানাচ্ছে, আগামী দিনে জাল নোটের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাই সতর্ক থাকা একান্ত প্রয়োজন।