বাংলা হাট ডেস্কঃ বর্তমান মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দড়ি টানাটানি এখনো অব্যাহত। করোনা কালে রাজ্য থেকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেন সরিয়ে নেওয়া না হয় সেই মর্মে এর আগেই দিল্লিকে চিঠি লিখেছিল নবান্ন। সেই চিঠির উত্তরে তিন মাস মেয়াদ বাড়ানো হয় আলাপনের। কিন্তু কলাইকুন্ডায় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না দুজনের কেউই। আর তারপর একবার দিল্লি থেকে চিঠি পাঠানো হয় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সোমবার নর্থ ব্লকে রিপোর্টও করতে বলা হয় তাকে। তারপর থেকেই শুরু হয় কেন্দ্র-রাজ্য দড়ি টানাটানি। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়তে পারছে না রাজ্য। আর সেই কারণেই নবান্নেই উপস্থিত রয়েছেন তিনি। কিন্তু রাজ্যের অনুরোধ কেন্দ্র না মানলে আইনের পথে লড়াই ছাড়া কোন উপায় নেই। ইতিমধ্যেই সে কথা জানিয়েও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আ
আর সেই কারণেই এবার সম্ভবত তৈরি রাখা হলো ব্যাকআপ। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্য সচিব হিসেবে না পাওয়া গেলে পরবর্তী মুখ্যসচিব কে হবেন, তাই একরকম স্থির করল রাজ্য। নবান্ন তরফে প্রকাশ্যে এখনো কিছু জানানো না হলেও সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুখ্য সচিব হতে পারেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ১৯৮৮ সালের ব্যাচের আই এস ক্যাডার তিনি। অর্থ দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন হরিকৃষ্ণবাবু। বর্তমানে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব সামলান তিনি। তার অনুপস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পেতে পারেন বর্তমান সেচ সচিব নবীন প্রকাশ।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এই মুহূর্তে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘর্ষ বেশ চরমে উঠেছে। এমতাবস্থায়, পরবর্তী মুখ্য সচিব হিসেবে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নাম সামনে আসাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে আজ বিকেলে সম্ভবত মুখ্য সচিব হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেবেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এই মুহূর্তে নবান্নে রয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে এই টানাপোড়েন এখন কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে।