বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার (covid-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ে জর্জরিত গোটা দেশ। চিকিৎসা ব্যবস্থার নানা ঝঞ্জাট পেরিয়ে এখন ভ্যাকসিন (vaccine) সমস্যা দেখা দিয়েছে ভারতে (india)। এই পরিস্থিতিতে বিদেশে টিকা রপ্তানি বন্ধ রেখে, দেশবাসীক প্রথমে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার। যার জেরে বিপদের কালো মেঘ ঘনিয়ে এল প্রায় ১০০ টি দেশের উপর।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় পর্বে ভ্যাকসিন সংকট বর্তমানে বড় আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার বিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশের মানুষ যখন ভ্যাকসিন সংকটে রয়েছে, তখন এই মুহূর্তে বিদেশে ভ্যাকসিন রপ্তানি করা সম্ভব হবে না। যার জেরেই এই সংকটের মধ্যেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে প্রায় ১০০ টি দেশ।
জানা গিয়েছে, বিশ্বের কম এবং মাঝারি আয় সম্পন্ন দেশগুলিতে কোভিশিল্ড রপ্তানির জন্য অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছিল সেরাম ইনস্টিটিউট। ২০২০ সালেই ৪০০ মিলিয়ন ডোজ পাঠানোর অঙ্গীকার থাকলেও, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় সেই চুক্তিতে বদল আনতে বাধ্য হয় ভারত সরকার।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ‘ভারত এই মুহূর্তে বিদেশে ভ্যাকসিন রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায়, বিপদে পড়েছে প্রায় ৯১ টিরও বেশি দেশ। যার মধ্যে এই ভাইরাসের নতুন প্রজাতির খোঁজ পাওয়া আফ্রিকার দেশগুলোও রয়েছে। যেখানে এখনও ০.৫ শতাংশ মানুষকেও টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ হয়নি। এমনকি ভ্যাকসিন পায়নি সকল স্বাস্থ্যকর্মীরাও’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে, ‘করোনা ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি বি.১.৬১৭.২ ছাড়াও এই ভাইরাসের অন্যান্য প্রজাতিও এই সকল এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা থেকে গোটা বিশ্বেই আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে’।