বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে’ এই প্রবাদ আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন, তবে যদি বলা হয় একটি পুরনো এক টাকার কয়েনই আপনাকে বানাতে পারে লাখপতি বিশ্বাস করবেন কি? শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও কথাটা কিন্তু সত্যি। এমন অনেক কয়েন রয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক যা তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে বহু আগেই। যার ফলে এখন তার হয়ে গেছে মাত্র কিছু মানুষের কাছেই। লোকে যেমন পুরনো জিনিস সংগ্রহ করতে ভালোবাসে, যেমন ডাকটিকিট সংগ্রহ করতে ভালোবাসে, তেমনি অনেকে ভালোবাসেন কয়েন সংগ্রহ করতে। আর তাদের কাছে এ ধরনের দুর্লভ কয়েনের মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা হলেও পিছপা হন না তারা। আসলে পুরনো জিনিস ধরে রাখে আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য। তেমনি কয়েনের মধ্যেও ধরা থাকে ইতিহাস আর তাই এধরনের বেশকিছু কয়েন বা নোট সংগ্রহে রাখতে খুবই আগ্রহী সংগ্রাহকরা।
কারা কেনেন এ ধরনের জিনিসপত্রঃ
দেশ-বিদেশ ব্যাপী একাধিক অ্যান্টিক কালেক্টর রয়েছেন, যারা এধরনের পুরনো জিনিস সংগ্রহ করেন। আর তাদের কাছেই পুরনো দিনের বাতিল হয়ে যাওয়া এইসব কয়েনের মূল্য মারাত্মক। কয়েনের পিছনে থাকে বেশ কিছু ছবি। অনেক সময় কোন বিশেষ উদ্যোগকে আরো বেশি প্রচার করার জন্য কয়েন এর পিছনে তার প্রতিলিপি তৈরি করা হয়। আর এই ধরনের কয়নই ভীষণ মূল্যবান, সংগ্রাহকদের কাছে।
ভিক্টোরিয়া কয়েনঃ
আজ যে কয়েনটির কথা আপনাদের বলব তার প্রচলিত নাম ভিক্টোরিয়া কয়েন। ১৮৬২ সালে মুদ্রিত ১ টাকার কয়েনটি এখন রীতিমতো আকর্ষনীয় বস্তু সংগ্রাহকদের কাছে। এর পিছনে খোদাই করা রয়েছে রানী ভিক্টোরিয়ার আবক্ষ প্রতিকৃতি। খুব কম সংগ্রাহকের কাছেই এখন এ ধরনের কয়েন দেখা যায়। আর তার কারণেই রুপার তৈরি এই কয়েনের দাম কোন কোন ক্ষেত্রে হতে পারে দেড় লক্ষ টাকা অবধি।
শুধু এক টাকার কয়েনই নয় আপনাকে বেশ কয়েক হাজার টাকা পাইয়ে দিতে পারে ১৮১৮ সালে মুদ্রিত একটি এক আনার ভিক্টোরিয়া কয়েনও। স্বাভাবিকভাবেই এর মুদ্রণ এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, আর তার কারণে খুব কম মানুষের সংগ্রহে রয়েছে এই ধরনের কয়েনগুলি। যার ফলে এই এক আনা পয়েন্টের জন্য আপনি পেতে পারেন ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এছাড়া গণেশ চতুর্থী নববর্ষ কিংবা দিওয়ালিতে ভগবানের প্রতিকৃতি অঙ্কিত কয়েনগুলির দাম যথেষ্ট বেড়ে যায়।
কোথায় বিক্রি করা যায় এ ধরনের কয়েনঃ
বেশকিছু অনলাইন নিলাম সংস্থা এবং ই-কমার্স সংস্থাও। যেমন কুইকার, ওএলএক্স, ফ্লিপকার্ট কিংবা ইন্ডিয়ামার্টেও খুঁজে পাবেন এ ধরনের কয়েনগুলি। বিক্রি করার পদ্ধতিও খুবই সহজ এক্ষেত্রে একজন অ্যান্টিক বিক্রেতা হিসেবে আপনাকে সংস্থার সঙ্গে নিজের নাম রেজিস্টার করতে হবে। আর তারপর নিজের কয়েনের ছবি তুলে তার জন্য মনোমতো মূল্য চেয়ে আপনি বিজ্ঞাপন দিতে পারেন এ ধরনের ই-কমার্স সংস্থাগুলির সাহায্যে। এরপর আপনার সঙ্গে সরাসরি কথা হবে ক্রেতার। তার কাছে মনেমতো দাম পেলে আপনি বিক্রি করতে পারেন আপনার সংগ্রহ।