বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ ২৫ বছরের শাসনের পর ত্রিপুরায় (Tripura) সিপিএম (Cpim) শাসনের পতন হয়েছিল। বিজেপি আর IPFT জোট ২০১৮ সালে সরকার গড়েছিল ত্রিপুরায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিজেপি নেতা বিপ্লব কুমার দেব। ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ৩৬ IPFT ৮টি আসন পেয়েছিল। প্রাক্তন শাসক দল সিপিএম ১৬টি আসন পেয়েছিল। কংগ্রেসের কপালে সেবার একটিও আসন জোটেনি।
ত্রিপুরায় বিজেপির সরকারের তিন বছর পূরণ হয়েছে গত মার্চ মাসে। আগামী বিধানসভা নিরাবচন ২০২৩-এ হওয়ার কথা আছে। অসমের মতো ত্রিপুরাতেও বিজেপি নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। আরেকদিকে, সিপিএম ও জমি ফিরে পেতে যারপরনাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এরই মধ্যে সিপিএমের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার রাজনীতি তোলপাড় করে দিয়েছে বিজেপি।
সম্প্রতি ত্রিপুরার বাম নেতা-কর্মীদের কিছু পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। সেই পোস্ট গুলোকে দেখিয়ে বিজেপি অভিযোগ করে বলছে যে, ক্ষমতায় ফিরতে সিপিএম এখন সশস্ত্র হিংসার পথ অবলম্বন করতে চাইছে। বিজেপির অভিযোগ, কিছুদিন আগে রাজ্যে হওয়া এডিসি ভোটে একটিও আসন না পেয়েই ত্রিপুরা সিপিএম এখন হিংসার পথ অবলম্বন করছে।
ত্রিপুরার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বাম নেতা ভালুলাল সাহার একটি পোস্ট ঘিরে চরম বিতর্ক ছড়িয়েছে। ভানুলাল সাহা তাঁর ফেসবুক পোস্টে সিপিএম-এর কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে লাঠি, পেট্রোল বোমা, শাবল, লোহার পাইপ, দাঁ সমেত নানান অস্ত্র মজুত রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। ভানুবাবু এই অস্ত্রগুলোকে আবার আইনত নিরামিষ অস্ত্র বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি এও বলেছেন যে, আত্মরক্ষার স্বার্থে প্রতিরক্ষার সামগ্রী কিনে রাখা কোনও অপরাধ নয়।
https://twitter.com/sanjayswadesh/status/1399607024116060160
রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এই বয়ানকে উস্কানি হিসেবেই দেখছে শাসক দল। বিজেপির নেতা সঞ্জয় মিশ্র একটি টুইট করে লিখেছেন, ‘এই কথাটা যদি বিজেপির কোনও ছোট নেতা বলে ফেলত, তাহলে জাতীয় মিডিয়া এতক্ষণে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধিয়ে দিত। কিন্তু বুদ্ধিজীবী হওয়ার জন্মগত শখ রাখা বাম নেতাদের হিংসাত্মক উস্কানির কোনও চর্চা হয়নি। ভানুলাল সাহা মানিক সরকারে অর্থমন্ত্রী ছিলেন আর চারবারের বিধায়ক তিনি।”
ত্রিপুরা বিজেপির এক মুখপাত্র বলেন, ‘বামেরা এখন দিশেহারা হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি এডিসি নির্বাচনে ওঁরা একটাও আসন পায়নি। বাংলাতে শূন্য আসন পেয়েছে। ত্রিপুরার আগামী নির্বাচনে ওদের আসন সংখ্যা আরও কমে যাবে। সেই কারণে বাজার গরম করতে আর উত্তেজনা ছড়াতে ওঁরা এমন মন্তব্য করছে।”