বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্র আর রাজ্যের মধ্যে সংঘাত এখনও শেষ হয়নি। ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় এসে একটি বৈঠক করেছিলেন, সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব অনেক দেরী করে পৌঁছান এবং বৈঠকে উপস্থিত না থেকেই চলে যান। মমতা বন্দ্যোপধ্যায় বলেছিলেন যে, তিনি অনুমতি নিয়েও চলে গিয়েছিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার এই ইস্যুতে বয়ান দিয়ে এসেছেন। এবার কেন্দ্র সরকার দ্বারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ানের জবাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের সুত্রর তরফ থেকে জানা গিয়েছে যে, তাঁরা মোট ৯টি পয়েন্টে জবাব দিয়েছে … আমরা কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরছি।
কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী আর মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ইস্যুতে নয়া মোড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বৈঠক নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের দাবি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলাইকুণ্ডায় ইয়াস বিপর্যয় বৈঠক ছাড়ার অনুমতি দেননি বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী নিজের দাবি পেশ করে মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে চলে যান বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।
রবিবার একটি প্রেস কনফারেন্স করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনবার অনুমতি নিয়ে দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠক করার জন্য রওনা দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নিজে ওনাকে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলল কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, কলাইকুণ্ডায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উপস্থিত থাকবেন না, সেটা বৈঠকের আগের দিনই নবান্ন থেকে দিল্লীকে জানিয়ে দেওয়া হয়। ইয়াস পর্যবেক্ষণ বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু শেষমেশ একান্ত বৈঠকও হয়নি।