INApবাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের মহামারীর বিরুদ্ধে সমানে ফ্রন্ট লাইনে দাঁড়িয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। লক্ষ লক্ষ রোগীর দায়ভার এখন তাদের কাঁধে। এমতাবস্থাতেও, একাধিক হিংসার ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদেরই। একদিকে যেমন করোনার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন দেশের প্রায় ৫৯৪ জন চিকিৎসক। তেমনি অন্যদিকে নেমে আসায় হিংসার ঘটনায় এবার সড়ক হলো আই এম এ। আগেও বারবার দেখা গিয়েছে কোভিড হাসপাতালের কোন চিকিৎসক পাড়ায় থাকলে তাঁর উপর চড়াও হয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া মৃতের পরিবারের তরফে আক্রোশ তো রয়েছেই।
গতদিনেই এমন একটি ঘটনায় উদ্বেল হয়েছে আসাম। কোভিড রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আসামের চিকিৎসক সেজকুমার সেনাপতির উপরে চড়াও হয় মৃতের পরিবার। আসামের হুজাইতে উদালী কোভিড কেয়ার সেন্টারে কর্মরত ছিলেন সেজকুমার। সেখানেই এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ওপর চড়াও হয় পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৪ জন। তীব্র নিন্দা করে ঘটনাটিকে বর্বরচিত আখ্যা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও। কিন্তু এভাবে চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ কতদিন চলবে? যারা সামনে থেকে লড়াই করে বাঁচাচ্ছেন লাখো লাখো প্রাণ তাদেরই ওপর এ ধরনের আক্রমণ কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আর সেই কারণেই এ বিষয়ে করা নিয়ম আনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করল আই এম এ।
আইএমএফ তরফে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি চিঠিতে জানানো হয়েছে, “ভারতে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটছে তাতে ব্যাপক, নির্দিষ্ট ও কার্যকরী আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা অনুরোধ করছি আপনি এই বিষয়ে একটি কড়া আইন আনার ব্যবস্থা করুন।” সাথে সাথে তারা এও বলেছেন, সমস্যা বাস্তবে কতখানি কঠিন, তা নিয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই। আসলে যা দেখা যাচ্ছে তা হয়তো হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এই চিঠিতে আই এম এর তরফে আরো উল্লেখ করা হয়, ” দিনদিন স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা বাড়ছে। যারা মেডিকেল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত তাদের জন্য এটা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়।”
একইসঙ্গে স্পষ্টভাষায় জানানো হয়েছে, যারা অতিমারীতে দিনরাত কাজ করছেন, তারাই এভাবে হিংসার মুখোমুখি হচ্ছেন। তাই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। তাদের দাবি এক “সর্বাঙ্গীণ অভিন্ন ও কার্যকরী” আইন করা হোক চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষার জন্য। এখন আগামী দিনে এ বিষয়ে কতটা সাড়া মেলে সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে।