বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতে করোনার (corona) দ্বিতীয় ঢেউ নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশটাকে। ধনী বা গরীব, করোনা যে বাছবিছার করে না সেটা আরো স্পষ্ট হয়েছে এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে। সাধারন মানুষ থেকে তারকা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, করোনা প্রাণ নিয়েছে অনেকেরই। আজ দেশের মানুষের এই দুর্দশার জন্য একরকম কেন্দ্রের সরকারকেই দোষী ঠাওরালেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জী (rahul banerjee)।
কিছুদিন আগে পর্যন্তও টালমাটাল অবস্থা ছিল চারিদিকে। বেড, অক্সিজেনের অভাবে হাহাকার শোনা যাচ্ছিল। করোনার প্রথম ঢেউয়েই যা অবস্থা হয়েছিল তারপর দ্বিতীয় ঢেউ আসার জন্য মানুষ নিজেরাও যে কিছুটা হলেও দায়ী সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন রাহুল। আনন্দবাজার পত্রিকার হয়ে লিখতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ভারতীয় হিসাবে আমরা ব্যর্থ।
গত বছর লকডাউনের স্মৃতি স্মরণ করেছেন রাহুল যখন মাইলের পর মাইল পথ হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত, ঘুমন্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের শরীরের উপর দিকে চলে গিমেছিল ট্রেন। গোটা দেশ শিউড়ে উঠেছিল সেই ঘটনায়। রাহুলের অভিযোগ, এই দেশে সমান অধিকার নেই।
নিজের স্বজাতিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অভিনেতা। গত বছর দূর্গাপুজোয় করোনার ভয় ভুলে রীতিমতো প্যান্ডেলে ভিড় জমিয়েছিল বাঙালি। এই দলে যে তিনি নিজেও ছিলেন তাও স্বীকার করেছেন অকপটে। এমনকি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যে করোনা ছড়ানোর দোষ দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলিকে সেই দোষের ভাগীদার রাহুল নিজেও। কারণ হিসাবে তাঁর বক্তব্য, তিনি নিজেও বামের হয়ে প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন।
কিন্তু একই সঙ্গে রাহুলের প্রশ্ন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের হুশিয়ারি যখন ছিলই তখন নির্বাচনটা পিছিয়ে দিল না কেন নির্বাচন কমিশন? অভিনেতার নিশানায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো রাজনৈতিক হেভিওয়েটরা। রাহুলের কটাক্ষ, নির্বাচনের সময় ‘ডেলি প্যাসেঞ্জারি’ করেছেন এই নেতামন্ত্রীরা। কিন্তু এখন তাঁদের খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ প্রোজেক্ট কেও আক্রমণ শানাতে ভোলেননি রাহুল।
অভিনেতার কথায়, এই বিপদের দিনে মানুষকেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। রেড ভলান্টিয়ার্স ছাড়াও অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও এগিঢ়ে আসছে মানুষের সাহায্যে। রাহুলের বিশ্বাস এক সময় অতিমারিকে জয় করবেই মানুষ।