বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চার্টার্ড বিমানে করে দিল্লী গিয়ে অমিত শাহের বাড়িতেই বিজেপিতে (bjp) যোগদান করেছিলেন তৃণমূল (tmc) ত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (rajib banerjee)। দলবদল করে বিজেপিতে নাম লিখিয়ে হাওড়ার ডোমজুড়েই নিজের কেন্দ্রে পদ্ম ছাপে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে নানা সভা সমাবেশে রাজীবের আগুন ঝরানো বক্তৃতা সকলের মনে ধরলেও, ২ রা মের পর থেকে টিকিটিও দেখা যায়নি তাঁর।
তবে কি আবারও সবুজ শিবিরে ফিরতে চাইছেন দলবদলু নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়! রাজনীতির অন্দরে জল্পনা শুরু হলেও, বিজেপি শিবির এবিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছুই বলতে চাইছে না। তবে নির্বাচন শেষে বিজেপির সঙ্গে দূরত্বের পরবর্তীতে তৃণমূলের দাবী, আগে অন্যান্যদের মাধ্যমে যোগাযোগ করলেও, এখন সরাসরি নিজেই যোগাযোগ করছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু বিজেপির দাবি, অনেকবার ফোন করেও, গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকরা তাঁকে পাশে পাননি, যোগাযোগ করা যাচ্ছে না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এবিষয়ে বৈশালী ডালমিয়ার বক্তব্য, ‘বেহালায় আমার ছেলের উপর হামলা হওয়ার পর দিলীপদা, কৈলাসজি, শুভেন্দুদা সকলে খোঁজ নিলেও, রাজীবদার ফোন পর্যন্ত আসেনি’।
একই সুর রুদ্রনীল ঘোষের গলাতেও। তাঁর কথায়, ‘ভবানীপুরে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর দলের সকলের সঙ্গে কথা হলেও, রাজীবদার সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ হয়নি’। শুধু তাই নয়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তীতে বিজেপির সকল সব বিধায়ক ও প্রার্থীকে নিজের নিজের এলাকায় গিয়ে মানুষের খোঁজ খবর নেওয়ার কথা বললেও, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখাও নাকি পায়নি ডোমজুড়বাসীরা। অন্যদিকে নির্বাচনে হারের পর থেকে বিজেপির কোন বৈঠকেও দেখা যায়নি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তৃণমূল ত্যাগী নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যাওয়ার পর এরকম দোলাচালের প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, ‘সকলের জন্যই একই নিয়ম প্রযোজ্য। ভোটের আগে যারা দল বদল করেছিলেন, তাঁরা এখন ফিরতে চাইলেই যে তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে- এমন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আগে যাদের দমবন্ধ লাগছিল, এখনও তাঁদের যদি দমবন্ধ লাগে, তাহলে তৃণমূল তো আর বিজেপি দফতরে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠাতে পারবে না!’