বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যখন প্যানডেমিকের কারণে দেশে ক্রমাগত চাকরি হারাচ্ছেন মানুষজন। মধ্যবিত্ত পরিণত হচ্ছে নিম্নবিত্তে। দেশজুড়ে চলছে হাহাকার। তখনই প্রথমবার কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন রতন টাটা। তিনি জানিয়েছিলেন, এবার থেকে ফ্রন্টলাইনে লড়াই করা কোন কর্মী মারা গেলেও তার বেতন বন্ধ করবে না কোম্পানি। বরং অবসর কাল পর্যন্ত বেতন পাবেন তার পরিবার। শুধু তাই নয় সামনে থেকে লড়াই করা কর্মীদের জন্য তার পরিবার এবং হাসপাতাল খরচের সমস্ত ব্যয় ভারও বহন করবে টাটা। এমনটাই জানিয়েছিল তারা। এবার সেই সূত্র ধরেই এগিয়ে এলেন এশিয়ার সবচেয়ে বড় ধনী তথা রিলায়েন্স গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মুকেশ আম্বানিও।
সেদিন রিলায়েন্স গ্রুপের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্যানডেমিকের বিরুদ্ধে কর্মীরা সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন। তাই এবার কর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে কোম্পানি। প্রথমত কোন কর্মীর কোভিডের সংক্রমণে মৃত্যু ঘটলে আগামী ৫ বছর পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেতন পাবে তার নমিনি বা পরিবারের সদস্য। রিলায়েন্স ফ্যামিলি সাপোর্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার স্কিমের আওতায় ভারতের যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক স্তর অবধি পড়াশোনা করতে পারবেন মৃত কর্মীর সন্তান। সেক্ষেত্রে সমস্ত খরচ বহন করবে কোম্পানি। মৃত কর্মীর বাবা মা স্বামী অথবা স্ত্রী এবং সন্তানদের চিকিৎসা বিমার খরচও বহন করবে তারা। শুধু তাই নয়, কোভিডের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে তিন মাসের বেতন একসঙ্গে পেতে পারবেন কর্মীরা। এছাড়া পরিবারের কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বিশেষ কোভিড ১৯ ছুটিও পাবেন সেই কর্মী। যাতে এই সময় তিনি পরিবারের পাশে সম্পূর্ণ ভাবে দাঁড়াতে পারেন। এছাড়াও অফরোলে কোন কর্মী মারা গেলে তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা অব্দি সহায়তা করবে রিলায়েন্স গ্রুপ।
করোনা ভাইরাসের কারণে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ ভারতবর্ষে। একদিকে যেমন বাড়ছে বেকারত্ব, তেমনি অন্যদিকে প্রতিটা দিন আতঙ্কে কাটছে জনতার। এরই মধ্যে অনেক জরুরী পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত রিলায়েন্স গ্রুপ। টেলিকম সার্ভিস এর মধ্যে অন্যতম। যার জেরে সামনে থেকেই লড়াই করতে হচ্ছে কর্মীদের। আর সেই কারণেই এদিন এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপের তরফে। জানানো হয়েছে, রিলায়েন্স গ্রুপের তরফে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে কর্মী ও তার পরিবারের জন্য। এই স্কিমের নাম আর সুরক্ষা। সরকারের নীতি মেনেই কর্মী এবং তাঁর পরিবারবর্গকে ভ্যাকসিনেট করা হবে রিলায়েন্স তরফে। কর্মীদের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে নীতা আম্বানি জানিয়েছেন, রিলায়েন্স তার এক পরিবারের প্রতিশ্রুতি পালন করতে বদ্ধপরিকর। বর্তমান পরিস্থিতি হতাশাজনক হলেও রিলায়েন্স পরিবার সবসময় কর্মীদের পাশে আছে।