বাংলাহান্ট ডেস্ক: মদ্যপ অবস্থায় বন্ধুর সঙ্গে বচসা, গালিগালাজ। আর তারপরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা (suicide) করেন ‘প্রথমা কাদম্বিনী’ (prothoma kadambini) সিরিয়ালের কলাকুশলী পূজা গায়েন (puja gayen)। সিরিয়ালে শিল্পীদের পোশাকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সোমবার রাত দুটোর পর পুলিস গিয়ে পূজার নেতাজীনগরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ঝুলন্ত দেহ।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে নিজের এক বন্ধু জিনাকে ফোন করে বাড়িতে ডাকেন পূজা। জিনা ছাড়াও আরো এক বন্ধু টুম্পা রায়ও সেদিন ছিলেন পূজার বাড়িতে। রাত প্রায় সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মদ্যপান করেন তিনজন। গল্পের মাঝে হঠাৎ করেই ঝগড়া লাগে টুম্পা ও পূজার মধ্যে।
একসময় বিরক্ত হয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে শুয়ে পড়েন পূজা। কিন্তু টুম্পা মুখে জল ঢেলে ফের জাগিয়ে দেন তাঁকে। এরপরেই দুই বন্ধুকে বাইরে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন পূজা। দরজা ধাক্কা দিয়ে কোনো সাড়া না পাওয়ায় হাতুড়ি দিয়ে দরজা খোলেন তারা। তখনি দেখেন সিলিং ফ্যান থেকে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন পূজা।
পুলিস সূত্রে খবর, রাত পৌনে ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে পূজার। কিন্তু থানায় জানানো হয় রাত দুটো নাগাদ। তখন বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পূজাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন চিকিৎসক।
প্রথমা কাদম্বিনী সিরিয়ালে অভিনয় করতেন জাগৃতি গোস্বামীও। তিনি খবর পেয়েছেন গত মঙ্গলবার। এই আত্মহত্যা প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডিজিটালকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এমনিতে হাসিখুশি স্বভাবের মানুষ ছিলেন পূজা। কিন্তু মাঝে মাঝেই বিষন্ন হয়ে পড়তেন তিনি। তবে তার কারণ কখনো জিজ্ঞাসা করেননি জাগৃতি।
অভিনেত্রী আরো জানান, পূজার হাতে কাটা দাগ দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কারণ জিজ্ঞাসা করলেও কিছু বলেননি পূজা। তাঁর এমন সিদ্ধান্তের কারণও জানেন না জাগৃতি। নেতাজীনগরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন পূজা। তাঁর বাবা মা থাকেন পূর্ব বর্ধমানের দেবীপুরে। মামলা এখনো দায়ের না হলেও তদন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে পুলিসের তরফে।