গেরুয়া শিবিরে বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা, তৃণমূলে পা বাড়িয়ে ৩ সাংসদ ও ৮ বিধায়ক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের আগে তৃণমূলে (All India Trinamool Congress) ব্যাপক ভাঙন ধরিয়েছিল বিজেপি (Bharatiya Janata Party)। আর নির্বাচনের পর বিজেপির কাছে বুমেরাং হয়ে গেল সেই দলবদলের খেলা। ইতিমধ্যে বিজেপির অনেক নেতা-নেত্রী দল ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস, অমল আচার্য, সরলা মুর্মুরা। এছাড়াও এখনও অনেক বিজেপি নেতা নেত্রীদের গলায় ভিন্ন সুর শোনা যাচ্ছে।

bombing in Ghatal allegations against Tmc, injured BJP MLA

আর এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠছে যে বিজেপির ৭ থেকে ৮ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। তৃণমূলের দাবি, শুধু বিধায়করাই নন, ৩ জন সাংসদও বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিতে পারেন। যদিও বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূলের এই দাবি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেনন, বিজেপির লোকেরা বিজেপিতেই আছেন। বিজেপিতে অনুশাসন রয়েছে, ওঁরা তৃণমূলে যোগ দেবেন না।

উল্লেখ্য, নির্বাচনের পর বিজেপি ছেড়ে একের পর এক নেতা-নেত্রী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তাঁদের কাউকেই এখনও তৃণমূল ফিরিয়ে নেয়নি। শাসক দলের দাবি, এখন কোভিড আর ইয়াস পরিস্থিতি নিয়ে লড়াই করার সময়। এখন এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। তবে এই ভাঙনের মধ্যে বিজেপির কাছে একটা জিনিষ ভালো যে, যারা দল ছেড়ে যেতে চাইছেন তাঁরা কেউই সর্বদা বিজেপি করতেন না।

সোনালী, সরলা, দীপেন্দু, অমল সমেত সবাই নির্বাচনের আগে হাওয়া বদলের ইঙ্গিত পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২ মে তে পালাবদল না হওয়ায় তাঁরা আবার পরিযায়ী পাখির মতো ঘরে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। আর এটাই এখন বিজেপির কাছে সবথেকে বড় আশার আলো।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর