বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার রাজনৈতিক মহলে মদন মিত্র (Madan Mitra) একটি উজ্বল নক্ষত্র। মানুষের পাশে থাকা ছাড়াও তিনি বহু বিতর্কেও জড়িয়েছেন বারবার। নারদা, সারদা কেলেঙ্কারিতেও না আছে তাঁর। কিছুদিন আগেই নারদা মামলায় অভিযুক্ত থাকার কারণে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে হাজতবাস। যদিও তিনি জেলে থাকার বদলে অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন। এরপর জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি আপাতত বাড়িতে।
তৃণমূলের অন্য নেতা-মন্ত্রীদের তুলনায় মদন মিত্র একটু বেশীই জনপ্রিয়। আর ওনার জনপ্রিয়তার আসল রহস্য লুকিয়ে আছে ওনার ফেসবুক লাইভে। প্রায় দিনই নিয়ম মাফিক মদনবাবু ফেসবুক লাইভে এসে বর্তমান পরস্থিতি, রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেন। কখনও কখনও রাজনীতির বাইরেও আলোচনা করে থাকেন। আর ওনার ফেসবুক লাইভে এই আলোচনা সভা ব্যাপক জনপ্রিয়তা হাসিল করেছে।
ওনার ফেসবুক লাইভ সবথেকে বেশী জনপ্রিয় বাংলায় যুবতীদের কাছে। আর এই কারণে তৃণমূলের প্রার্থী সায়নী ঘোষ একদা মদন মিত্রকে ‘বাংলার ক্রাশ” বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন। শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ফেসবুক লাইভে আসেন। সেখানে তিনি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে করতে আচমকাই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন।
গতকালের ফেসবুক লাইভে মদন মিত্র কামারহাটি কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। মদন মিত্র বলেন, ‘কামারহাটি থেকে শুরু করে বরানগর এবং হালিশহরের চেহারা পাল্টে দেব। একটা সুযোগ করে দিন না। আমি তো কিছু চাইছি না, এটাই তো চাইছি। আমি জানি লোকে বলবে দেরীতে চাইছে। মুডে চাইছে। আই ডোন্ট কেয়ার। রোম যখন পুড়ছিল তখন নিরো মদ খেয়েছিলেন কি না জানিনা। আমি আপনার কাছে চাইছি আপনি কামারহাটির প্রশাসনের দায়িত্ব আমাকে দিন। আমি কামারহাটি অ্যাসেম্বলি থেকে পদত্যাগ করব। আপনি অন্য কাউকে দায়িত্ব দিন, সে জিতে আসুক।”
মদন মিত্র লাইভে এসে এই কাতর আবেদন করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু পরক্ষণেই তিনি ভিডিওটি ডিলিট করে দেন। যতসম্ভব তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করার জন্যই এই ভিডিওটা করেছিলেন। এছাড়াও উনি লাইভ ভিডিওতে কিছুটা হলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তিনি নেশা করে এসেছে।