জেলের বদলে গৃহবন্দি রাখা হোক, NIA-র আদালতে আবেদন ছত্রধর মাহাতোর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছত্রধর মাহাতো। একটা সময় যার নাম শুনলেই সামনে উঠে আসতো মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের ছবি। আপাতত তিনি বন্দি রয়েছেন প্রেসিডেন্সি কারাগারে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে রাজধানী এক্সপ্রেস পনবন্দি, সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতোকে খুন সহ একাধিক মামলা। ২০০৯ সালে তাঁকে প্রথমবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু বাম আমলে জনসাধারণ কমিটির এই নেতার মুক্তির দাবিতে ২৭ অক্টোবর রাজধানী এক্সপ্রেসকে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে পন বন্দী করে মাওবাদীরা। যদিও ছত্রধর তখন জেলে, কিন্তু এনআইএ দাবি করে আসলে জেলে বসেই রাজধানী এক্সপ্রেস পনবন্দি করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন ছত্রধর। এছাড়া প্রবীর মাহাতোকে খুনের অভিযোগ তো ছিলই।

chhatradhar mahato

ছাত্রধর একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দাবি করলেও, জনসাধারণ কমিটির এই নেতাসহ মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। এরপর অনেক জল গড়িয়েছে। জামিনও পেয়েছেন ছত্রধর। এমনকি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক পদেও বসানো হয়েছে তাকে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর জঙ্গলমহলে গড় যথেষ্ট নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের। কিন্তু আরো একবার একুশের নির্বাচনে ছত্রধরকেই সামনে রেখে এগোয় তৃণমূল।

যার জেরে নির্বাচনের ফলাফলে দুর্দান্ত ফলও করেছে তারা। কিন্তু ১১ বছর পর প্রথমবার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের পরেই ফের একবার গ্রেপ্তার করে এনআইএ। ২৭ মার্চ ভোট দিতে পারার পর ছত্রধর জানিয়েছিলেন, “দশ বছর পর ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে মনে হচ্ছে আমি যেন নতুন ভোটার।” কিন্তু তার পরের দিনই লালগড়ে গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়।

সেই থেকে প্রেসিডেন্সি কারাগারেই বন্দি ছিলেন এই দাপুটে নেতা। তবে এবার তাকে গৃহবন্দী করার আবেদন জানাল ছত্রধরের আইনজীবী। জানা গিয়েছে এনআইএর বিশেষ আদালতে তার আইনজীবী জানিয়েছেন, ছত্রধর অসুস্থ, তাই করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গৃহবন্দী থাকতে চান তিনি। এই মামলায় বাড়ি থেকেই তিনি আদালতকে সমস্ত সহযোগিতা করবেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানির রয়েছে সোমবার। আগেই নারদ কান্ড প্রসঙ্গে উঠে এসেছিল ছত্রধরের কথা। অনেকেই অভিযোগ তুলেছিলেন, নারদ কাণ্ডের চার অভিযুক্তকে ছাড়াতে যতটা তৎপর তৃণমূল। ছত্রধরের ক্ষেত্রে ততটা তৎপর নয় তারা। এখন আগামী দিনে এই মামলা কোন দিকে গড়ায়, সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।

Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর