বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টুইটারের সঙ্গী কেন্দ্রের বিরোধ এবার চরমে উঠলো। আজ সকালে উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নীল টিক বা ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট হওয়ার স্বীকৃতি তুলে নেয় টুইটার। একই ঘটনা ঘটে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গেও। বেঙ্কাইয়া নাইডুর ক্ষেত্রে টুইটারের যুক্তি ছিল ছমাস ধরে ব্যবহৃত হয় না এই অ্যাকাউন্টটি। সেই কারণেই নীল টিক সরিয়ে নিয়েছে তারা। আর এরপরই টুইটারকে শেষবারের মতো হুঁশিয়ার করে দিল কেন্দ্র। সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির জন্য বেশ কিছু নতুন নিয়ম এনেছে কেন্দ্র সরকার। তা না মানলে যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে তারা।
সেই সূত্র ধরেই এবার টুইটারকে শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিল মোদি সরকার। জানানো হলো, “ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারার মধ্যে থাকা সমস্ত আইন অবিলম্বে টুইটারকে মানতে হবে। না হলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।” প্রথমত টুইটার জানায়, তারা বক্তার জন্য একটি মঞ্চ প্রস্তুত করে, কিন্তু নিজের বক্তব্যের দায় সম্পূর্ণ বক্তার তাতে সংস্থার কোন ভূমিকা নেই। ৭৯ ধারার এই আইন অনুযায়ী সংস্থাকেও এর দায়ভার গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া টুইটারের আইন উপদেষ্টা জিম বেকারকে উদ্দেশ্য করে জানানো হয়েছে, নিয়মমতো তারা এখনো চিফ কম্প্লায়েন্স অফিসার, রেসিডেন্ট গ্রিভ্যান্স অফিসার এবং নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন নিয়োগ করেনি। এছাড়াও জানানো হয়েছে, টুইটার ভারতে প্রায় ১০ বছর ধরে রয়েছে,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ভারতীয় সাদর অভ্যর্থনা পেয়েছে তারা। কিন্তু এই ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি আইন না মানা ভারতীয় ব্যবহারকারীদের প্রতি উদাসীনতারই নামান্তর। আর সেই কারণেই ফের একবার সতর্ক করা হয়েছে তাদের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে টুইটারের এই আইনি লড়াই চলছে। এই সময়ে টুইটারকে নরেন্দ্র মোদি বিরোধী সমস্ত পোস্ট ব্লক করার আবেদন জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। যে আবেদন সঠিকভাবে পালন করেনি টুইটার। অবশেষে উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর অ্যাকাউন্ট থেকে নীল টিক তুলে নেওয়া যথেষ্ট বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন আগামী দিনে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে টুইটারের এই সংঘর্ষ কোন দিকে গড়ায় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…