বাবা-মা সময় পাচ্ছেন না, পরীক্ষার জন্য একাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছল তিন বছরের পুচকি! অবাক সকলে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যখন করোনা বাড়ছে তখন অন্যদিকে বাড়ছে মানুষের মধ্যে অসচেতনতা। যার জেরে ক্রমশ আরো বড় অতিমারীর দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা৷ সাধারণভাবে মুখে মাস্ক পরা এবং করোনা বিধি পালন করলে অনেক সহজেই আমরা দূরে সরিয়ে রাখতে পারি এই রোগকে। কিন্তু করোনা বিধি যেন শিকেয় উঠেছে, কারও মাস্ক রয়েছে থুতনিতে কেউবা মাস্ক পকেটে রেখে দিচ্ছেন নানান অজুহাত। সোশ্যাল ডিসটেন্সিংয়ের বালাই নেই। বাসে, বাজারে দোকানে সব জায়গাতেই থিক থিক করছে ভিড়। মানুষের মধ্যে এভাবে অসচেতনতা যখন চরমে উঠেছে, তখন বড় শিক্ষা দিল তিন বছরের ছোট্ট মেয়ে লিপাভি।

নাগাল্যান্ডের জুনহেবটো জেলায় হেবোলিমি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হঠাৎই তিন বছরের মেয়েটিকে একা ঢুকতে দেখে অবাক হয়ে যান চিকিৎসকরা। জিজ্ঞাসার উত্তরে লিপাভি বলে, কয়েকদিন ধরেই সর্দি কাশি হচ্ছিল তার। সে শুনেছে এগুলো ফেলে রাখা ঠিক নয় করোনা হতে পারে। অথচ বাবা-মা জমিতে কাজ করেন, তাই আসতে পারেননি তারা। সেই কারণে নিজেই মুখে মাস্ক দিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পৌঁছেছে লিপাভি। এতোটুকু মেয়ের এই সচেতনতা দেখে অবাক হন সকলেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার স্টেট প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন ইয়েপথোমি। ছবিটি সম্পর্কে বেঞ্জামিন লেখেন, “তিন বছরের লিপাভিকে দেখে চিকিৎসকরাও ভীষণ অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। জানানো হয়েছে কয়েকদিন ধরেই সর্দি-কাশি হয়েছিল তার। কিন্তু বাবা-মা জমিতে কাজ করতে চলে যাওয়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসতে পারছিল না সে। তারপরেই ও ঠিক করে একাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আসবে।”

তিনি আরো লেখেন, “এ সময় যখন বড়রা ভ্যাকসিন নিতে এবং পরীক্ষা করাতে দ্বিধা বোধ করছেন, ছোট্ট লিপাভি সচেতনতার সঙ্গে আমাদের পথ দেখাল। সচেতনতা এখন প্রতিমুহূর্তে প্রয়োজন। আমি ছোট্ট লিপাভির দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।”

তার এই কর্মকান্ডের প্রশংসা শুরু হয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েই। একসময় ছোটরাও বড়দের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়ে যেতে পারে, আরেকবার প্রমান করলো এই ঘটনা।


Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর