বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের একবার খবরের শীর্ষবিন্দুতে উঠে এসেছে নদীতে ভেসে আসা বেওয়ারিশ মৃতদেহ। অনেকেরই মতেই গঙ্গা এবং যমুনায় ভাসিয়ে দেওয়া মৃতদেহগুলি হতে পারে করোনা রোগীদের। গতকালও একইভাবে মালদায় ভুতনি চকে ভেসে এসেছিল দুটি লাশ। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। আজও এমনই একটি ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের দামোদর তীরবর্তী সদরঘাট এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দামোদরের জলে ভাসছিল একটি যুবকের মৃতদেহ। যা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষজন। ভিড় জমে যায় নদীর তীরবর্তী এলাকায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশ। এরপর পুলিশ এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে মৃতদেহ জল থেকে তুলে আনতে এগিয়ে যান। কিন্তু তার পরেই ঘটে এক আজব ঘটনা, হাত ধরে টানতেই সটান জলের মধ্যে বসে পড়ে ওই যুবকের মৃতদেহ।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা দেখে প্রাথমিকভাবে অবাক হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য অনুযায়ী, মৃতদেহের শরীরে তেমন কোনো পোশাক ছিল না। প্রায় এক ঘন্টা ধরে জলের মধ্যেই মরার মতো পড়েছিল সে। যার জেরে বোঝা যাচ্ছিল না শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে কিনা। আর সেই কারণেই পুলিশের সাহায্য নিয়ে মৃতদেহটিকে নদীর পাড়ে নিয়ে আসতে চান তারা। কিন্তু ঠিক তখনই উঠে বসে ওই যুবক এবং পুলিশকে দেখে পালাতে শুরু করে। রাগ সামলাতে পারেননি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত চড় চাপড় দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয় তাকে।
গঙ্গায় করোনার মৃতদেহ ভেসে আসা নিয়ে এই মুহূর্তে আতঙ্কিত সকলেই। আর তার জেরেই এধরনের সাধারণ মজাও এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে মানুষের কাছে। সম্প্রতি এমন একটি ভাইরাল ভিডিও সামনে এসেছিল, যেখানে দেখা গিয়েছিল রাস্তার ধারে জঙ্গলে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। স্বাভাবিকভাবেই দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন পথচলতি সমস্ত মানুষই। কিন্তু পুলিশ আসতেই কাপড়ে-ঢাকা সরিয়ে উঠে বসে এক যুবক। ভাবখানা এমন যেন আদতে সে ঘুমোচ্ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিখ্যাত হবার চক্করে এমন অনেক কাণ্ডকারখানা এখন করছেন মানুষ। তবে এই ধরনের ‘প্র্যাকটিকাল জোক’ কখনো কখনো সত্যিই মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।