বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিবিএসই দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করলেও মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে পরীক্ষা করার পক্ষেই রায় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মাফিক তৈরি করা হয় একাধিক নিয়মও। ছাত্র-ছাত্রীদের হোম সেন্টার, ১০০ নম্বরের বদলে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা এমনকি সময় কমিয়ে তিন ঘন্টার বদলে দেড়ঘন্টা করারও পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল সম্ভবত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হতে পারে জুলাই মাসে এবং মাধ্যমিক নেওয়া হতে পারে আগস্টে।কিন্তু সিবিএসই পরীক্ষা বাতিল করার পরেই নির্ঘণ্ট প্রকাশের দিন ফের একবার পিছিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা কিভাবে করা সম্ভব তা দেখার জন্য বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়।
কিন্তু রাজ্য এখনো মুক্তি পায়নি কোভিড থেকে। তার ওপর ভয়ানক ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণও চলছে। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে পরীক্ষা দেবে প্রায় কুড়ি লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী। তাই এই মুহূর্তে পরীক্ষার আয়োজন অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। যদিও শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করার জন্যই চেষ্টা করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
এমনকি জনতার মতামত জানতে তাদের কাছে ই-মেইলেরও আহ্বান করানো হয়। সাংবাদিক বৈঠকে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রায় ৩৪ হাজার মানুষ ই-মেইল করে তাদের মতামত রেখেছেন। যার মধ্যে ৮৩ শতাংশ মানুষই রায় দিয়েছেন পরীক্ষা না হওয়ার পক্ষে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, কিভাবে এই ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন হবে তা জানানো হবে ৭ দিনের মধ্যে। সিবিএসই এবং আইসিএসসি বোর্ডের সঙ্গে মিলিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধা যাতে না হয় সে বিষয়ে আগে খেয়াল রাখতে হবে। আর সেই কারণেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য।