বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে একমাসের উপরে। তৃতীয়বার রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি শপথ নিলেও, কিছুটা সংশয় রয়েছে। কারণ, তিনি নিজের কেন্দ্র থেকে জয়ী হননি। ওনাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকতে হবে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে আসতে হবে।
রাজ্যের ছয়টি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর মধ্যে একটি আসন হল ভবানীপুর। ওই আসনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ওই আসন থেকে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেছেন। যেহেতু ভবানীপুর আসনটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিরাচরিত আসন বলেই পরিচিত, সেহেতু শোচভনদেব বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয়বার ওই আসনটি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ছেড়ে দিয়েছেন।
রাজ্যে তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিজেপি শিবিরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মূলত নির্বাচনের আগে যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা আবার দলে দলে তৃণমূলের ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কাউকেই দলে নেওয়া হয়নি। তবে আগামী দিনে যে তাঁদের নেওয়া হবেনা। সেটাও বলা যাচ্ছে না।
আর বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি তথা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছিল। গুঞ্জন উঠেছিল যে, তিনি বিজেপি ছেড়ে আবারও তৃণমূলে যোগ দেবেন। যদিও কদিন আগেই তিনি সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানিয়ে দেন যে, তিনি বিজেপি ছাড়ছেন না। তিনি পরিস্কার বলে দেন যে, ‘বিজেপি ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই।”
আর এরমধ্যে তিনি নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্ফোরক বয়ান দেন। তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করা নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন বিজেপিতে আসবেন, সেদিনই আমি তৃণমূলে যাব।”