বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঝাড়খণ্ডের পলামৌ জেলার লালমাটি জঙ্গলে বুধবার এক ১৬ বছর বয়সী নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে যে, উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরী দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল আর তাঁর বাবা বিজেপি করত। পুলিশ জানায়, হত্যার আগে ধর্ষকরা কিশোরীর ডান চোখ উপড়ে নিয়েছিল। এরপর তাঁকে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়। বুধবার সন্ধেয় ওই কিশোরীর স্থানীয় শ্মশানে শেষকৃত্য করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করেছে। মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডের ভিত্তিতে ২৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত প্রদীপ কুমার সিংকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রদীপ কুমার বিবাহিত বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, প্রদিপের সঙ্গে আরও কয়েকজন এই নৃশংস ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারে।
ধর্ষিতা কিশোরীর পরিবার জানায়, ৭ জুন সকাল ১০টা নাগাদ সে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পাঁকি থানার SI অশোক কুমার জানান, নির্যাতিতার পরিবার মঙ্গলবার ৮ জুন মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিল। এরপর পুলিশ তাঁর খোঁজ শুরু করে। বুধবার গ্রামের পাশের একটি জঙ্গলে কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানায়, কিশোরীর ডান চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ অনুমান, ধর্ষণের পর তাঁকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। এরপর ঘটনাটি অত্মহত্যা প্রমাণ করতে কিশোরীর দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কিশোরীর পরিবার তাঁর মেয়ের সঙ্গে ধর্ষণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে।
পলামৌ জেলার এসপি বলেন, মেয়েটির সঙ্গে ধর্ষণ হয়েছে কি না সেটা পোস্টমর্টেম রিপোর্টের পরই জানা যাবে। আপাতত পুলিশ প্রতিটি কোণ থেকেই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। মৃতার পরিবার কোনও যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল না বলে জানিয়েছে। পুলিশ সুপার অনুযায়ী, হত্যার কিছুদিন আগেই অভিযুক্ত আর নির্যাতিতার মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। তবে তা কি নিয়ে ছিল, সেটা এখনও জানা যায়নি।